কামরুল ইসলাম
ফোরকান উল্লাহ চৌধুরী’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি”তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, ও “শিল্পপতি বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনের প্রতিষ্ঠাতা , সভাপতি মোঃ ফোরকানুল্লাহ চৌধুরী’।
আমার খুব কাছ থেকে দেখা বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, তরুণ সংগঠক, নীতি নৈতিকতা, আদর্শ ও মানবতা বোধ সম্পন্নকারী একজন সফল ব্যবসায়ী ও তরুণ শিল্পপ্রতি তিনি। শুধু তাই নয়, তার বহুমাত্রিক প্রতিভা, অমায়িক ব্যবহার, হাসি মাখা চেহারা, মানবতাবোধ ও সামাজিক কর্মকান্ড থাকে করেছে অনন্য। তিনি একজন সাদা মনের মানুষ। তার জীবন – যাপন অত্যন্ত সহজ- সরল! সহজে সবার সাথে মিশে যান! সবার কথা শুনেন ধৈর্য সহকারে, মন দিয়ে। তারপর বাড়িয়ে দেন সহযোগিতার হাত। সত্য বলতে কি অমায়িক একজন মানুষ এতক্ষণ যেই মানুষটির কথা বললাম তিনি গরীব অসহায় মানুষের এক মাত্র সহায় তিনি আজ অসুস্থ অবস্থায় ইন্ডিয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছে এইদিকে উনার জীবনের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত শ্রদ্ধেয় পিতা মাষ্টার অলিউল্লাহ চৌধুরী মৃত্যু বরণ করেছেন। হাইরে দুর্ভাগ্য অসুস্থতার কারণে ইন্ডিয়া থাকার কারণে জীবনের শ্রেষ্ঠ নিয়ামত পিতা কে শেষ দেখাটা দেখতে পারেনি।
উনি এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা ও স্কুলের উন্নয়নের তার আর্থিক সহযোগিতা রয়েছে। সমাজের অসহায় দিন মজুর, প্রতিবন্ধী, বিধবা, ও সমাজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য তার রয়েছে বিশেষ বাজেট।ফোরকানুল্লাহ চৌধুরী ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ ইংরেজিতে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলা’র আমিরাবাদ ইউনিয়নে’র বসরত আলী মুন্সির বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাস্টার মোহাম্মদ অলিউল্লাহ চৌধুরি, মাতার নাম মোসাম্মৎ সাহেদা বেগম চৌধুরী। তার দাদার নাম মরহুম আশরফ আলী চৌধুরী। দক্ষিণ-চট্টগ্রামের প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি মডেলের উচ্চ বিদ্যালয়”এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আশরফ আলী চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও যোগ্যতার অন্যতম নিদর্শন হিসেবে ১৯৩৭ সালে জমি দানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কালের সাক্ষী হিসেবে আজও মাথা উঁচু করে রয়েছে।
শিক্ষকতা যোগ্যতা: মোঃ ফোরকানুল্লাহ চৌধুরী দক্ষিণ সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি, ১৯৯০ সালে এইচএসসি এবং ১৯৯২ সালে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক পাস করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে একই বিষয়ের উপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন!
ব্যবসা-বাণিজ্য: ছাত্র জীবন শেষেই তিনি বেকার জীবন না কাটিয়ে ১৯৯৮ সালেই নিজকে প্রতিষ্ঠিত করে পেসিফিক জিনস গ্রুপ এর সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে: সেখানেই তিনি ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিজ মেধা, দক্ষতা ও ব্যক্তিগত গুণাবলীকে কাজে লাগিয়ে কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা উন্নতী করেন। পরে তার ব্যবসায়িক পরিচালনায় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি প্রমোট হন পেসিফিক জিনস গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে।
তিনি একাধারে জিসান এন্টারপ্রাইজ এর স্বাতধিকারী, চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ এর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান চিটাগাং বেলভিউ লিমিটেডের ডিরেক্টর। এছাড়াও তিনি ২০১০ সালে ইউনিটি টেক্সটাইল এড্র এক্সেসরিজ লি: প্রতিষ্ঠা করে আজ পর্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছেন!
সামাজিক কর্মকাণ্ড ও দায়িত্ব: ২০১৫-২০১৭ও২০১৮ থেকে ২০১৯ ইংরেজি পর্যন্ত টানা ৫ বছর দক্ষিন সাতকানিয়া গোলামবারী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে
সভাপতি হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯৮সালে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে জাতীয়করণে উন্নতি হয় তিনি লোহাগাড়া আইনজঙ্খলা কমিটির অন্যতম সদস্য।
একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি আমার মা বাবা ও মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসায় এতটুকু এসেছি। আপনারা সবাই আমার জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন, যাতে এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকতে পারি।