1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
পতেঙ্গা থানার ওসি কে অবগত করার পর ও বন্ধ হচ্ছে না রম রমা দেহ ব্যবসা - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি’র আলোচনা সভা ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত শফিকুল ইসলাম শফিক ঢাকা মহানগর উত্তর জাসাস-এর যুগ্ম আহ্বায়ক নিযুক্ত মধুপুর বখাটে শিক্ষকের প্রেমের প্রতারণায় শিক্ষিকার মৃত্যু,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন শফিকুল ইসলাম মাস্টারের নির্যাতনময় সংগ্রামী জীবনের প্রতি পাঁচবিবি বাসীর কৃতজ্ঞতা চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে ব্যাপক হরিলুটের অভিযোগ ‎উল্লাপাড়া কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মুর্তজা আলীর অবসরজনিত বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি ‘ক’ জোনের মাসিক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুমকি উপজেলার মুরাদিয়াতে ছেলের হাতে মা লাঞ্চিত সিংড়ায় আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চাল বিতরণ গোপালগঞ্জে মুখী ষ্টার এক্সপ্রেস বাস ও কভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ড্রাইভার গুরুতর আহত

পতেঙ্গা থানার ওসি কে অবগত করার পর ও বন্ধ হচ্ছে না রম রমা দেহ ব্যবসা

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

 

কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নগরীতে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে দেহ ব্যবসা। বর্তমানে এর পরিমান কয়েকগুন বেড়েছে এই বিষয়ে পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কে কয়েক অবগত করার পর উনি বললেন অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি অথচ এই অভিযান মুখের উপর উনি যে অভিযান করছেন এমন কোন প্রমাণ নাই। বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানাযায় শুধু আবাসিক হোটেল নয় বাসা-বাড়ীতেও দেদারসে চলছে এই দেহ ব্যবসা। ১৫ বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের নারীরা এব্যবসার সাথে জড়িত। প্রবাসীর স্ত্রী, গার্মেন্টস কর্মী, বিউটিশিয়ান ও উঠতি বয়সের কিছু তরুনীরা এব্যবসার সাথে জড়িত। তবে এই পেশায় নানান কারণে নারীরা জড়িত হচ্ছে বলে জানান যৌন বিষয়ে কাজ করছে এমন কিছু এনজিও । এনজিও গুলো মনে করেন, প্রেমে ব্যর্থতা, স্বামীর অত্যাচার, ইয়াবা সেবন, বিবাহ বিচ্ছেদ, বিলাসিতা, অতিরিক্ত যৌন লালসা ও দারিদ্রতার কারণে এই দেহ ব্যবসায় নামেন এসব নারীরা।জানা যায়, চেহেরার সৌন্দর্য্যতার ভিন্নতায় এদের বিভিন্ন মূল্য দেয়া হয়। ১৫০০ থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত এদের মূল্য নির্ধারন হয়। বয়সে ছোট ও সুন্দর যৌন কর্মীর চাহিদা সবার কাছে বেশি। অন্য সূত্র মতে জানাযায় নগরীতে অন্তত কয়েক হাজার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়েরা চাকুরী ও ক্লাশ করার নামে দিন-রাত বাইরে গিয়ে মূলত দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বাসা-বাড়ীতে কিংবা রিসোর্ট ভাড়া নিয়ে বেশকিছু নারী নিজেকে ছাত্রী অথবা গৃহবধু পরিচয় দিয়ে দালালদের মাধ্যমে অন্যের ভোগের সামগ্রীতে পরিনত হচ্ছে দিনদিন। অন্য দিকে, বিউটি পার্লারের মালিকরা সুন্দর পার্লার দিয়ে আকর্ষনীয় চেহেরার মেয়ে শিকারের কাজে অর্থ বিনিয়োগ করে। এখানে কর্মরত বিউটিশিয়ান কিংবা গ্রাহকদের দিয়ে বাড়তি আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মালিকরা চালায় দেহ বানিজ্য। তবে এই বানিজ্য পার্লারের বাইরে বাসা-বাড়ীতে হয়। এই কায়দায় অনেক গৃহবধু, স্কুল ও কলেজ ছাত্রী পার্লারের মালিক দ্বারা প্রতারিত হয়ে সর্বস্ব হারানোরও অভিযোগ রয়েছে।‌বিশ্বস্তসূত্র জানায়, নগরীর বিভন্ন স্থানে স্বামী কিংবা শ্যালিকার বান্ধবী পরিচয় দিয়ে রাখে মেয়েদের। খদ্দরদের মেহমান হিসাবে এনে দালাল চক্র অনায়সে এই বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র গ্রাম থেকে হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েদের চাকুরী দেয়ার নামে শহরে নিয়ে আসে। টাকার লোভ, নাহলে জোর পূর্বক মেয়েদের তাদের দেহদানে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি স্বাভাবিকভাবে নিজেকে এই ব্যবসার সাথে মানিয়ে নেয়। হয়ে যান একজন পেশাদার যৌন কর্মী। অনেক নারী গার্মেন্টস কর্মী আছেন, যারা টাকা জমানোর আশায় ব্যাচেলর ছেলের সাথে বাসা নেয়। সবাই জানে তারা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু শুধুমাত্র তারাই জানে টাকা বাচানোর জান্য উভয়ের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে থাকা।
এদিকে, নগরীর বহদ্দারহাট, ২নং গেইট, জিইসির মোর, অলংকার, নয়ারহাট, বড়পোল, নিউমার্কেট, সিনেমা প্লেইস, আগ্রাবাদ, বারেক বিল্ডিং ও ইপিজেড পতঙ্গা, এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভাসমান অহরহ দেহ ব্যবসায়ী । তারা সামান্য টাকার বিনিময়ে পর পুরুষের বিছানায় যায়। তাদের বিরুদ্ধে হোটেলে উঠে খদ্দর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ছিনিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে। শহরে আনাচে কানাচে ‘ওপেন’ দেহব্যবসার ছড়াছড়িতে আমরা সঙ্কিত। আমরা অভিভাবকরা সারাক্ষন চিন্তায় থাকি কখন আমার ছেলেটা বেহায়াপনায় জড়িয়ে পড়ছে।এবিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জানান, আমরা সবসময় দেহ ব্যবসায়ী চক্রগুলো ধরতে অভিযান চালায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। তাহলেই সংঘবদ্ধ চক্রগুলো ধ্বংশ হবে। অন্যথায় হাজার অভিযান চালালেও কোন কাজ হবেনা। এদিকে নগরীর পর্যটন স্পটগুলোকে কেন্দ্র করে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। ফয়েজ লেক, স্বাধীনতা পার্ক ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় আবাসিক হোটেলগুলোকে নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অসামাজিক কার্যকলাপে। পাশাপাশি গেস্ট হাউজ ও রেস্টুরেন্টের নামে রয়েছে অহরহ মিনি হোটেল। যাতে রয়েছে ছোট ছোট রুমে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হওয়ার নিরাপত্তার ব্যবস্থা। সরেজমিনে ফয়েজ লেক ঘুরে দেখা গেছে, রিয়েল পার্ক, লেক সিটি, লেক পয়েন্ট রিসোর্ট, লেক গার্ডেন ও স্বর্ণালী নামে রয়েছে পাঁচটি আবাসিক হোটেল। রয়েছে অনেক গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট। নামে আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট হলেও কাজে মূলত এক একটা বড় আকারের পতিতালয়। হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পর্যটক নয় প্রতিদিন ভিড় জমায় যুবক যুবতী ও যৌন কর্মীরা। পার্কের নামে হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও গেস্ট হাউজে এসে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হয় উঠতি বয়সের তরুন-তরুনী ও যৌন কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফয়েজ লেকের এক ব্যবসায়ী জানান, হোটেলগুলোর প্রতিদিনের গেস্ট তরুন-তরুনী ও যৌন কর্মীরা। তারা হোটেল, রেস্টুরেন্টে বা গেস্ট হাউজে ঢুকবে, ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করবে, তারপর চলে যাবে। এখানে তেমন কোন বাইরের গেস্ট আসেনা। আসলেও বেশির ভাগ অন্যত্রে গিয়ে অবস্থান করে। এদিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও স্বাধীনতা পার্ক এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে একই অবস্থা। স্বাধীনতা পার্কে প্রেমিক যুগল সারাদিন ঘুরে বেড়াবে। সন্ধা হলে বহদ্দারহাট কোন হোটেলে এসে রাত্রিযাপন করবে অথবা ঘন্টা দুয়েক সময় কাটাবে। লিপ্ত হবে অবৈধ (যৌন মিলন) সম্পর্কে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে (সীবিচ) রয়েছে সুন্দর মানের টাইলস করা সায়মা নামের বিশাল একটি হোটেল। এখানে যেমন আসেন তরুন তরুনীরা তেমনি আসেন যৌন কর্মীরা। প্রেমিক যুগল ও যৌন কর্মীরা এসে এখানে লিপ্ত হয় অবৈধ সম্পর্কে।হোটেল মালিক পক্ষের বিস্বস্ত লোক দ্বারা পরিচালিত হয় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার এই ব্যবসা। হঠাৎ কেউ রিসিপশনে গেলে প্রথমে মনে হবে সম্পুর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে ও নিয়ম মাফিক পরিচালিত আবাসিক হেটেল। এক কথায় ভেজা বিড়াল। কিন্তু ভেতরে ঢুকলে বুঝা যায় কি হচ্ছে।অনৈতিক এব্যবসা বন্ধ করতে সিএমপি কমিশনার বলেন নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যাপক অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি দেহ ব্যবসা। চলছে পুরোদমে। কিছু রাজনৈতিক নেতা, পাতিনেতা ও অসাধু কিছু পুলিশ অফিসার হোটেলগুলো থেকে মাসোহারা নিচ্ছে বলে সূত্রে জানা গেছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, কিছু হোটেল অবশ্যই মেয়ে রাখে। কিন্তু আমরা কোন মেয়ে রাখিনা। প্রেমিক যুগলরা হোটেলে এসে সময় কাটায়। কোন গেস্ট মেয়ে চাইলে আমরা দালালদের মাধ্যমে কলেকশন করি। গোপন রেখে আমরা কাজটি করে থাকি। গোপনীয় এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এলাকার নেতা, পাতিনেতা ও প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা গুনতে হয় বলে দাবি করেন ওই সকল বেআইনী হোটেল ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জানান, আমরা হোটেলগুলোতে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছি। হোটেলে তরুন-তরুনীরা অনেকটা গোপনে আসা যাওয়া করে। চট্টগ্রাম শহরটা অনেকবড় আমরা প্রতিদিন অভিযান চালাচ্ছি, আপনারা তথ্য দেন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অসামাজিক কার্যকলাপ কোথাও চলতে দেওয়া যাবেনা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি