1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
চাকুরিহারা যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
মাইজভাণ্ডারী গাউছিয়া হক কমিটি ‘ক’ জোনের মাসিক সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত দুমকি উপজেলার মুরাদিয়াতে ছেলের হাতে মা লাঞ্চিত সিংড়ায় আগাম বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে চাল বিতরণ গোপালগঞ্জে মুখী ষ্টার এক্সপ্রেস বাস ও কভার ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ, ড্রাইভার গুরুতর আহত পেকুয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যুতে ক্ষোভ এলাকাবাসী সাবেক এমপি জাফর আলমের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে পেকুয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পেকুয়ায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রী ও নবজাতক শিশুকে দেখতে গিয়ে হামলার শিকার জামাতা নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পঞ্চগড়ে এনটিভি’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন কালীগঞ্জে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেষ্টুনীসহ বৃক্ষ রোপন ও অসহায় নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন পটুয়াখালী ভার্সিটিতে, শ্রদ্ধা, স্মরণ ও প্রেরণার আলোকে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন

চাকুরিহারা যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকারা নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫
  • ৩২ বার পড়া হয়েছে

 

আজ ৩০শে মে শুক্রবার, ঠিক সকাল ১১ টায়, যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ডাকে, শিয়ালদা থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু নবান্ন অভিযান শুরুর আগে পুলিশ একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে গ্রেফতার করে শিয়ালদা স্টেশন থেকে।

জানা যায় তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল, শিয়ালদা থেকে মিছিল করে নবান্নে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করার কথা, কোন রকম তারা বিশৃঙ্খলা করতে চাননি।

এই নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নবান্ন যাওয়ার রাস্তা গুলিতে সারি সারি পুলিশি মোতায়েন রাখা হয়, এমনকি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর ব্রীজের মুখ গুলোতেও পুলিশ মোতায়েন ছিল , আর যেখান থেকে মিছিল শুরু ও জমায়েত হওয়ার কথা সেই শিয়ালদা স্টেশনে কয়েকশো পুলিশ মোতায়েন ছিল আগে থেকেই। আই পিএস থেকে শুরু করে বড় বড় অফিসাররাও উপস্থিত ছিলেন।

ঠিক দশটা সাড়ে দশটা থেকে যখন একে একে শিক্ষক ও শিক্ষিকারা শিয়ালদা স্টেশনের জমায়েত স্থানে উপস্থিত হচ্ছিলেন ,সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদেরকে একে একে গ্রেফতার করে, এমনকি পুলিশ প্রশাসনকে মাইকিং করতে দেখা যায়, ফলে খবর পেয়ে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছুটিয়ে পড়ে, এবং বেশ কিছু জায়গায় জমায়েত হতে থাকে।

শিক্ষক শিক্ষিকারা চতুর্দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ায়, পুলিশ প্রশাসনের ফোর্স, ধর্মতলা চত্বরের বিভিন্ন দিকে, সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফোর্স মোতায়েন করে দেয়, যেখানে যেখানে জমায়েত হচ্ছিলেন, সেখান থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলে, এমনকি পথ চলতি মানুষকেও তারা ছাড় দেননি। অভিযোগ করেন আমরা রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম, আমাদেরকে শিক্ষক শিক্ষিকা ভেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে।,

পুলিশ অফিসাররা একের পর এক খবর পেয়ে, হাওড়া এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন, স্টাইল বাজার, এস এন ব্যানার্জী রোড, ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড, প্রত্যেকটি জায়গা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গ্রেফতার করে লালবাজার নিয়ে যান।

গ্রেফতার হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, আমরা কোন অন্যায় কাজ করছিলাম না, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদেরকে জোর করে গ্রেফতার করা হয়, কেন আমাদেরকে গ্রেফতার করা হলো এর উত্তর দেননি, আমরা যোগ্য চাকুরি প্রার্থী, আমরা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা, আমাদেরকে এইভাবে হেনস্থা করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, আমরা শুধু নবান্নে গিয়ে দিদির সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। প্রশাসনের লোক আমাদেরকে তা করতে দিল না। এমন কি আমাদের কথা বলার সুযোগও দেননি পুলিশ অফিসারেরা।

রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি