মাহমুদ হাসান রনি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের হাজতী তিন মামলার আসামীহ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দর্শনা থানার কুড়ালগাছি পশ্চিমপাড়ার মৃত আকবর আলীর ছেলে মহিরুল ইসলাম(৪০) ‘র মৃত্যু হয়।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানায়,দামুড়হুদা থানার ২০২৩ সালের একটি মাদক মামলার আসামি মহিরুলকে আগের দিন বেলা ১১ টার দিকে দর্শনা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একইদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।কারা সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত ১টা ৫৫ মিনিটের দিকে কারাগারে মহিরুল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাথে সাথেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়।এদিকে খবর শুনে
দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট এ. এস. এম. আব্দুর রউফ শিবলুর উপস্থিতিতে হাসপাতালের লাশ ঘরে সদর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. রকিন সাদী বলেন, কারাগার থেকে হাজতি মনিরুলকে যখন জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে মৃত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি স্ট্রোকে মারা যেতে পারেন।নিহতের স্ত্রী নাসিমা বলেন,আমার স্বামীর নামে গাজাসহ কয়েকটি মামলা ছিল।বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকতো।কয়েকদিন আগে একটি মামলায় জামিনে সে বাড়ি আসে। তাই আমি বাপের বাড়ি চলে যায়।
শুনেছি গ্রেপ্তারের পর পুলিশ সদস্যরা মারধর করেছে। দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, ওই দিন বেলা ১১ টার মধ্যে দামুড়হুদা থানার মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি মহিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং সাড়ে ১১ টার মধ্যেই আমরা তাকে কোর্টে চালান করে দিই। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।মারধরের ঘটনাটি সঠিক নয়।
মাহমুদ হাসান রনি চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি