কুতুব উদ্দিন মোল্লা, কুলতলী
ম্যানগ্রোভ ঘেরা সুন্দরবন আর এই সুন্দরবনের দ্বীপ এলাকার মানুষদের প্রতিনিয়ত জীবন জীবিকা নির্বাহ করার জন্য জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘের সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। জীবন যুদ্ধে প্রতিদিন কুমির এবং বাঘের সাথে যুদ্ধ যেন নিত্যদিনের সঙ্গী এলাকাবাসীদের। লোকালয়ে কুমির ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত এলাকার মানুষজন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে বনদপ্তরের বনকর্মীরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে কুমিরটিকে জাল বন্দি করে। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলির ময়রাচক গ্রামে কুমির আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এক ব্যক্তি দিলীপ দলুই এর পুকুরে একটি কুমির ভাসতে দেখে এলাকাবাসীরা।এরপর কুমিরের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। কুমিরটিকে ধরার জন্য টুলু পাম্পের মাধ্যমে পুকুরের সমস্ত জল সেচের ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার পুকুরের জলস্তর কমে গেলে এলাকাবাসীরা দেখতে পায় প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুটের একটি কুমির। এরপর বন দপ্তরের পক্ষ থেকে পুকুরটির চারদিক ঘিরে ফেলা হয় এবং প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় কুমিরটিকে ধরতে সক্ষম হয় বনদপ্তরের কর্মীরা। এ বিষয়ে পিয়ালী বিট অফিসার আবু জাফর মোল্লা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে স্থানীয় এক ব্যক্তির পুকুরে কুমির দেখে এলাকার মানুষজন। এরপর খবর দেওয়া হয় বনদপ্তরকে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং পুকুরের জল কমিয়ে আমরা কুমির থেকে ধরে ফেলি।আমাদের প্রাথমিক অনুমান কুমিরটি মাতলা নদী থেকে এই লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। কুমিরটিকে উদ্ধারের পর শারীরিক পরীক্ষা করা হবে এবং শারীরিক পরীক্ষা করার পর পুনরায় এই কমিরটিকে সুন্দরবনের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।