মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ০৫/০৬/২০২৫ ইং
শাহজাদপুরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেত্রীর পরিত্যাক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লামিয়া নামে ৬ বছর বয়সী শিশুর হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত লামিয়া উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের শ্রীফলতলা গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী নাজিমের মেয়ে। মঙ্গলবার (৩ জুন) দিনগত রাত ৪ টার দিকে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে শিশু লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ সময় পরিত্যাক্ত ঐ বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ থেকে কন্ডম এবং নেশা করার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ।পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, নিহত লামিয়ার বাবা নাজিম বিন্নাদাইর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে মিনাকে বিবাহ করে সেখানে বাড়ি করে বসবাস করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। জীবিকার তাগিদে নাজিম-মিনা দম্পতি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যাওয়ায় ২ মেয়ে তাদের নানা আব্দুর রশীদের কাছেই থাকে। মঙ্গলবার বিকালে নানা আব্দুর রশীদের বাড়ি থেকে নিখোজ হয় লামিয়া। সারাদিন খোজাখুজির পরও লামিয়াকে না পাওয়ায় ঐদিন রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করে।
পরে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলীর নেতৃত্তে পুলিশের একটি টিম রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোর ৪টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের রূপার পরিত্যাক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত লামিয়ার মুখ স্কচ টেপ দিয়ে আটকানো ছিলো এবং হাত-পা বাধা উলঙ্গ অবস্থায় ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে শিশু লামিয়াকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে লামিয়াকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ সময় পুলিশ পরিত্যাক্ত ঐ বাড়ির বিভিন্ন কক্ষ থেকে কন্ডম এবং নেশা করার সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা পালিয়ে যাওয়ায় বাড়িটি পরিত্যাক্ত হয়ে যায়। এই সুযোগে বাড়িটি হয়ে উঠেছে নেশাখোর এবং অপরাধীদের অভয়ারণ্য। শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলী জানান, শিশু লামিয়া মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার পর ঐদিন রাত ৮টার দিকে লামিয়ার নানা আব্দুর রশীদ সাধারণ ডায়েরী করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভোর ৪টার দিকে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের মরদেহ সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।