মো: তানজিম হোসাইন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর পাশাপাশি জমে উঠেছে মসলার বাজার। তবে এবার চিত্র কিছুটা ভিন্ন—মূল্যবৃদ্ধির বদলে বেশিরভাগ মসলার দাম রয়েছে নিয়ন্ত্রণে, যা ভোক্তাদের জন্য নিয়ে এসেছে স্বস্তির বার্তা।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আশপাশের বাজার ঘুরে জানা গেছে, দেশি শুকনো মরিচ কেজি প্রতি ১২০–১৮০ টাকা, ভারতীয় মরিচ ২৫০ টাকা, শুকনো হলুদ ১৯০–২৩০ টাকা, ভারতীয় জিরা মানভেদে ৩৬০–৬৬০ টাকা, লবঙ্গ ১,২২০–১,২৫০ টাকা, গোলমরিচ ১,১৪০ টাকা, এলাচ ৪,২০০–৪,৬০০ টাকা ও দারচিনি ৩৭০–৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, প্রতি বছর ঈদের আগে মসলার বাজার অস্থির হয়ে উঠলেও এবার সেই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না। কাজীর দেউরি বাজারে আসা ক্রেতা আসিফুল ইসলাম জানান, “এবার আগেভাগেই বাজার থেকে মসলা কিনে নিচ্ছি, দাম হাতের নাগালে রয়েছে।”
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মসলা আমদানিতে স্থিতিশীলতা এবং অসাধু সিন্ডিকেটের প্রভাব কম থাকায় বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত গত ১০ মাসে দেশে প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার টন মসলাজাতীয় পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে রসুন, আদা, পেঁয়াজ, হলুদ, এলাচ, লবঙ্গ, জিরা, মরিচসহ প্রায় সব ধরনের মসলাই রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানি এবং বাজার মনিটরিং ঠিক থাকলে ঈদ কিংবা মৌসুমি চাহিদা কখনওই মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত হতে পারে না। এবারের কোরবানির বাজার সেটিই প্রমাণ করেছে।