দেলোয়ার হোসেন পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
ধর্মীয় সহাবস্থান, সম্প্রীতি ও বিশ্বশান্তির প্রত্যাশায় জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে ৩২ প্রহরব্যাপী শ্রী মহানাম যজ্ঞানুষ্ঠান, পদাবলী কীর্তন এবং শ্রী শ্রীমন্মহাপ্রভূর ভোগ উৎসব। এই মহতি আয়োজনকে ঘিরে পুরো এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক অপার আধ্যাত্মিক ও উৎসবমুখর পরিবেশ।
অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল— “দেশ ও জাতির কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তির জন্য ঈশ্বরের নামে আরাধনা”। এতে অংশগ্রহণ করেন স্থানীয়সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ধর্মপ্রাণ ভক্তবৃন্দ। আয়োজনজুড়ে বিভিন্ন সময় গান, কীর্তন, পূজা-অর্চনা, প্রসাদ বিতরণ, আলোচনাসভা ও ধর্মীয় বক্তৃতার আয়োজন করা হয়।
এই মহান ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপস্থিত হয়ে এক ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাজসেবক শামীম হোসেন মন্ডল। তিনি হরিবাসর উদযাপন কমিটির কাছে ১ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান তুলে দেন। অনুদান গ্রহণ করেন কেন্দ্রীয় বারোয়ারী মন্দির হরিবাসর উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ভরত প্রসাদ গোয়ালা ও সদস্য সচিব গোকুল চন্দ্র।
অনুদান প্রদানকালে শামীম হোসেন মন্ডল বলেন,
“এই ধরণের ধর্মীয় ও মানবিক উদ্যোগ সমাজে সম্প্রীতি ও সহাবস্থানকে শক্তিশালী করে। আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি— ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আগামী দিনগুলোতেও এ ধরনের মহতী অনুষ্ঠানে আমার সর্বাত্মক সহায়তা থাকবে।”
আরও উপস্থিত ছিলেন:
পৌর যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ সজল পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান লিটন স্থানীয় সুধীজন, পূজার আয়োজকগণ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে শামীম হোসেন মন্ডলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। কমিটির আহ্বায়ক ভরত প্রসাদ গোয়ালা বলেন,
“শামীম ভাইয়ের এই উদার সহায়তা আমাদের অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। ধর্মীয় কর্মকাণ্ডকে ঘিরে এমন আন্তরিক সমর্থন সমাজে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেয়।”
মন্দির প্রাঙ্গণে কীর্তনের মধুর ধ্বনি, রঙিন আলোকসজ্জা এবং ভক্তদের উপস্থিতি এক অপূর্ব আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানকে করেছে প্রাণবন্ত।
এই আয়োজনের মাধ্যমে শুধু ধর্মীয় অনুশীলনই নয়, সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মিলনমেলাও ঘটেছে। আয়োজক কমিটি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত রাখতে তারা আরও বড় পরিসরে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করছেন।