নাজিম উদ্দীন, কেশবপুর, যশোরঃ
যশোরের কেশবপুর সাতবাড়িয়া ঘোষপাড়ায় নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনবিহীন শিশুখাদ্য ‘সন্দেশ’ তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। নেই কোনো বিএসটিআইর অনুমোদন। সন্দেশ তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রঙ। এছাড়াও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদানও ব্যবহার করা হচ্ছে এ কারখানায়, যা খেয়ে শিশুরা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এলাকাবাসী জানান, সাতবাড়িয়া বাজার থেকে উত্তর দিকে ঘোষ পাড়া
এলাকায় হারাধন ঘোষ পিতা ঠাকুর ঘোষ , বিপুল ঘোষ পৃথক স্থানে গড়ে তুলেছেন অনুমোদনবিহীন শিশুখাদ্য ‘সন্দেশ’ ক্রিম, তৈরির কারখানা। সন্দেশ তৈরিতে যে ময়দা ও রঙ মেশানো হচ্ছে সেগুলোর সব কিছুতেই বিষাক্ত উপাদান রয়েছে। ময়দা মাখানোর কাজ চলছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।
ঘোষ পাড়া এলাকায় হারাধন ঘোষের সন্দেশ কারখানায় গিয়ে দেখা যায় বেহাল দশা। এই কারখানার নেই কোনো ধরনেরই লাইসেন্স। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে চলছে সন্দেশ তৈরির কাজ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের নাকের ডগায় ঘোষ পাড়ায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে চলছে এসব সন্দেশ তৈরির কারখানা। এদের কোনো লাইসেন্স নেই। তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সন্দেশ তৈরি ও বাজারজাত করছে।
সরেজমিন গিয়ে ওই সন্দেশ কারখানাগুলোতে দেখা যায় কর্মচারীরা সন্দেশ তৈরির কাজ করছেন। সন্দেশ বানিয়ে ট্রেরে করে শুকিয়ে তা প্যাকেট করছেন নোংরা পরিবেশে। শ্রমিকরা দিন-রাত বড় বড় চুলায় গুড় চিনি জাল দিয়ে সন্দেশ তৈরি করেন। খালি গায়ে শ্রমিকদের শরীর থেকে ঘাম বের হচ্ছে সেগুলো খাবারের সাথে মিশছে, যা খেয়ে শিশুসহ সকল ক্রেতারা কিনে খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন নিয়মিত। প্রত্যেক দিন প্রায় বিভিন্ন দোকানে ১০ থেকে ২০ বিশ হাজার টাকার সন্দেশ বিক্রি করছেন মালিকরা এবং ভাগ্যকুল নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে কারখানা মালিক হারাধন ঘোষ এবং বিপুল ঘোষ বলেন নোংরা পরিবেশে সন্দেশ তৈরির কথা স্বীকার করে বলেন, একটু একটু নোংরা পরিবেশে আমরা সন্দেশ বানাই আগুন পানি যেখানে থাকবে তা একটু নোংরা হবেই। প্রশাসন কিছু বলে না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সবকিছু একটু মেনটেনেন্স করে নেয়।
এলাকাবাসী অবিলম্বে অবৈধ এসব নোংরা সন্দেশ তৈরির কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।