কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম
নিজেদের জান মাল ও সম্পত্তির বিনিময়ে ভারতের ওয়াকফ কালা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর নেতৃবৃন্দ। আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের উস্তি থানা এলাকায় ঘোলা মিলন মোড় জামে মসজিদে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর নেতৃবৃন্দ একটি বৈঠক করেন। সেখান ভারতের সম্প্রতি ওয়াকফ সম্পত্তি কালা আইন বিল পাস হয়েছে। সেই বিলের বিরোধিতা করেছেন ভারতের বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা। এবং এই কালা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আগে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা জমিয়তের সেক্রেটারীর মাওলানা খায়রুল হক সাহেব জানান যে, আগামী দিনে ভারতের কৃষক আন্দোলনের মতো বৃহত্তম আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যেমন করে কয়েক লাখ কৃষক আন্দোলনের ফলে কৃষি সম্প্রসারণ বিল প্রত্যাহার করে ভারত সরকার। ঠিক সেই ভাবে সারা ভারতের প্রায় 35 কোটি মুসলিম উম্মাহর শান্তি প্রিয় মানুষ যদি রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে তাহলে সরকার এই ওয়াকফ সম্পত্তি কালা আইন প্রত্যাহার করতে হবে।তাই নিজের জান মাল ও সম্পত্তির অধিকার এর দাবিতে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সংগঠন আরো মজবুত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর নেতৃবৃন্দ। জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর নেতৃবৃন্দ বলেন তারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বদ্ধপরিকর। সেই সঙ্গে মগরাহাট পশ্চিমের গরীব মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এবং গরীব মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান সঠিক হচ্ছে কি না তা সুনিশ্চিত করতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এবং সরকারি সম্পত্তি দখল করে ও পাবলিক ওয়ার্কাস ডিপার্টমেন্টের জমি অধিগ্রহণ করে যেভাবে মন্দির ও ঠাকুরস্হান তৈরি করছে বিভিন্ন যায়গায় তার প্রতিবাদ জানান। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সভাপতি ও উস্তি ব্লক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সভাপতি মাওলানা হাফেজ জাহাঙ্গীর বৈদ্য এবং মগরাহাট পশ্চিম ব্লক জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর সদস্য সেখ লিয়াকত আলী এবং ঘোলা মিলন মোড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম সাহেব ও কাজিপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম এবং সরিয়া পাড়া জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম সহ অন্যান্য জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ এর ব্লক নেতৃবৃন্দ।