মোঃ লিটন উজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :-
সরকারী ভাবে পদ্মার বালুমহল এবং তড়িয়া মহল বৈধ ডাকের মাধ্যমে ইজারাদাররা পেলেও পদ্মার বালু মহল নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছেই। অস্ত্রধারীদের যেন অভয়ারন্য পদ্মার বালু মহল। এই কারণে বৈধ ইজারাদার ও তাদের লোকজন রীতিমতো আতংকে রয়েছেন।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় গতকাল রবিবার বেলা ১১ টার সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ১২ মাইলে নৌকার মাঝি বালি ব্যবসায়ী ও নিরীহ শ্রমিকদেরকে নৌপথে বিশেষ করে ঈশ্বরদী থানা এলাকায় হয়রানি ও মিথ্যা মামলার ঘটনায় এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা দাবি করেন গত ১১ জুন তারিখে ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়াঘাট নামক স্থানে বালু বহনকারী নৌকা ও নৌকায় থাকা মাঝিমাল্লা ও লেবারদেরকে প্রতিহিংসা পরায়ণ ভাবে বিশেষ মহলের ইন্ধনে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে মিরাজ নামে একজন প্রতিবন্ধীও রয়েছে। তারা দাবি করেন, গত ৩রা জুন তারিখে লালপুর দিয়ার বাহাদুরপুর বালু মহলের বৈধভাবে ইজারা পান মোল্লা ট্রেডার্স। কিন্তু এই ইজারাকে কেন্দ্র করে মহল বিশেষের প্ররোচনায় একটি প্রভাবশালী চক্র নদীতে চলাচলকারী বালি বোঝাই নৌকার শ্রমিকদের উপর ভয়ভীতি সহ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে আসছে। এই কারণে পদ্মা নদীতে ভেড়ামারা এলাকার বালু ব্যবসায়ীদের নৌকা চলাচলে একটি প্রভাবশালী মহল ও ঈশ্বরদী থানা পুলিশ একজোট হয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাঁধার সৃষ্টি করে চলেছে। সংবাদ সম্মেলনে নৌকার মাঝি মোঃ আবুল কাশেম, নৌকার লেবার মুনতাজ এবং নৌকার অপরজন লেবার উজ্জ্বল তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীকুন্ডা নৌ পুলিশের ইনচার্জ ইমরান মাহমুদ তুহিন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ৩রা জুন তারিখে উক্ত বালুমহালের ইজারা পাওয়ার বিষয়টি তিনি অবহিত হয়েছেন। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, পূর্বের একটি মামলা থাকার কারণে ১১ তারিখে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী থানা পুলিশ কর্তৃক উক্ত গ্রেপ্তারের ঘটনাটি ঘটেছে। উক্ত অভিযান ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি সম্পর্কে নৌ পুলিশের সদস্যরা কোন কিছু জানেন না। নদীতে যেনো নিরাপদে সকল বৈধ নৌযান চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে তিনি তৎপর রয়েছেন বলেও জানান।