মাটি মামুন রংপুর :
রংপুরের গংগাচড়ায় আওয়ামী নেতা সৈয়দ আলী ও তার পুত্র তুফান জোরপূর্বক বাঁশকাটতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় তাদের হামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের তিন সদস্য আহত হন,তাদের কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১২ জুন ২০২৫ দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গংগাচড়া থানা ধিন ৩ নং বড়বিল ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মনিরাম,কসাইটারী নামক গ্রামের মৃত মাছুম আলীর পুত্র উপজেলা আওয়ামী নেতা সৈয়দ আলী (৪৮) ও তার তিন পুত্র তুফান মিয়া (২৫) আনোয়ারুল ইসলাম (কাল্টু ২৭) ও শাকিল মিয়া (২১) সহ অজ্ঞাত ৭থেকে ৮ জন অত্র গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জেলা- রংপুর, থানা- গংগাচড়া, মৌজা- মনিরাম, জে. এল নং- ১০, খতিয়ান নং- ৩১৭, দাগ নং- ৬২২,০৪ শতক জমিতে বাঁশঝাড় দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন। সৈয়দ আলীগং সংখ্যাগরিষ্ঠ ও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় গায়ের জোরে উক্ত জমি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন ১২ জুন ২০২৫ দুপুর ১২ টার দিকে সৈয়দ আলীগং বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি-সোটা, দা-কুড়াল, ছোড়া,লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত জমিতে অনধিকারে প্রবেশ করে বে-দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে থাকা বাঁশঝাড় হইতে ৫ টি বাঁশ কাটে বিষয়টি লোকমুখে শুনে সেখানে জাহাঙ্গীর আলম ও তার পুত্র মোসফিকুর রহমান (৩৫) এসে বাঁশ কাটতে নিষেধ করিলে সৈয়দ আলীগং তাদের উপরে হামলা চালায়। এবিষয়ে মোসফিকুর রহমান এই প্রতিবেদক কে বলেন আমরা আত্মরক্ষার্থে আশ্রয়ের জন্য নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে দৌড়াইয়া আসিতে থাকি তারা আমাদের পিছু ধাওয়া করে আমাদের নিজ বাড়ির উঠানে এসে আমার ও আমার বাবার উপর এলোপাতাড়িভাবে মার ডাং করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা
ফুলা জখম করে। আমার ছোট বোন-পেয়ারা খাতুন (২৫) তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকেও এলোপাতাড়িভাবে মার ডাং করে তুফানের হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বোনের মাথা লক্ষ্য করে চোট মারে আমার বোন মাটিতে পড়ে কাতরাইতে থাকে এসময় আনোয়ারুল ইসলাম কাল্টু তার পড়নের জামাকাপড় টানাহেচড়া করে ছিড়িয়া ফেলে। আমাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং যাওয়ার সময় আমাদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে জীবননাশের হুমকি প্রদর্শন করে এবং আজ নয়তো কাল যে কোন মূল্যেই হোক উক্ত বাঁশঝাড় দখল করে নিবে বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি আরও বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখে জাতীয় জরুরী সেবা- ৯৯৯ এ কল দিয়া সাহায্য প্রার্থনা করি। সংবাদ পেয়ে গংগাচড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিক আমার বোন কে গুরুতর অবস্থায় অজ্ঞাতনামা অটো রিক্সা যোগে গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া যাই সেখানে আমার বোনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার উন্নতর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। আমি ও আমার বাবা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমার বোন-পেয়ারা খাতুন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ আলীর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেন নি। গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আল এমরান বলেন এবিষয়ে মোসফিকুর রহমান বাদি হয় ৬ জন নামে ও ৭থেকে ৮ জন অজ্ঞাত করে এজাহার দায়ের করেন। মামলা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।