রাসেল শেখ :
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম: বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক জনাব এটিএম আকরাম হোসেন তালিম -এর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দ কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার আবার কেউ আইনি পেশায় নিয়োজিত। তিনি ইচ্ছে করলে তার জীবন শান্তি এবং আরামের ভিতরে কাটাতে পারতেন কিন্তু এই বয়সে নিজের কথা, পরিবারের কথা চিন্তা না করে জেল-মামলার কথা না ভেবে বাগেরহাট জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ-আন্দোলন করে গেছেন কখনো পিছনে তাকান নাই। দলের জন্য অনেক বার তাকে জেলে যেতে হয়েছে। তার এই ত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়ার নয়।
এম এ সালাম: বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির বর্তমান সমন্বয়ক এম এ সালাম বাগেরহাট জেলার ভিতরে খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি ইচ্ছে করলে বিশ্বের যেকোনো দেশে ঘুরতে পারতেন তা তিনি করেন নাই। বিগত ১৭বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আমলে কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে মিছিল-মিটিং-আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিলো অতুলনীয়। রাজপথে আন্দোলন করার অপরাধে তাকে বারবার জেলে যেতে হয়েছে।
ব্যারিস্টার শেখ জাকির হোসেন: ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ক্ষমতা আমলে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশে থাকেন এবং জামিন করান। যার কারণে তিনি নিজেও কম নির্যাতিত হননি। তিনি ইচ্ছে করলে তার আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে অনেক টাকা কামাতে পারতেন তা তিনি করেন নাই আইন পেশার পাশাপাশি রাজপথে থেকে প্রত্যেকটি মিছিল-মিটিং-আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। তার ত্যাগ কখনো ভুলে যাওয়ার নয়।
মনিরুল ইসলাম খান: ঐতিহ্যবাহী বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি সি এস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন মনিরুল ইসলাম খান এস-এস-সি পাশ করার পর ভর্তি হন পিরোজপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে সেখান ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হন এইচএসসি পাশ করার পর চলে যান ঢাকা। রাজনীতিতে তার পারদর্শীতা অনেক দূরে নিয়ে যায় তাকে। অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র প্রয়াত বীর-মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার এপিএস হিসেবে নিযুক্ত হন। আস্তে আস্তে রাজনীতিতে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সকল ক্ষেত্রে। যখন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-কে মিথ্যা-বানোয়াট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয় তখন মনিরুল ইসলাম খান কে বলা হয় মিথ্যা সাক্ষী দিতে তিনি জিয়া পরিবার এবং তার দল ও কর্মীদের কথা চিন্তা করে মিথ্যা দিয় নাই বরং মিথ্যা মামলায় তাকে ৭ বছর কারাবন্দী থাকতে হয়। তার জীবন-যৌবন কাটে কারাগারের অন্ধকারে। জেলের অন্ধকারে থেকেও দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রেখেছেন। তিনি ইচ্ছে করলে অনেক সুখ-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারতেন তা তিনি করেন নাই । অনেক বড় সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া – নিজের দল ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সকল সুখ শান্তি ও পরিবারের সদস্যদের ত্যাগ করে ৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন। তার উপর চলেছে অমানবিক নির্যাতন।
৫ আগস্টের পর সবাই ত্যাগি নেতা সেজেছেন। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। অনেকে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজকে দলের সুসময়ে বড় ত্যাগি নেতা সেজেছেন। ১৭ বছর যারা দলের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হোক।