রাসেল শেখ :
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:
শহীদ জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন ও পরীক্ষিত সৈনিক মনিরুল ইসলাম খান। তিনি তার ত্যাগ,সততা ও জনপ্রিয়তা দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাগেরহাট ২ আসনের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে এখন আস্থার প্রতিচ্ছবি।
মনিরুল ইসলাম খান: ঐতিহ্যবাহী বাগেরহাট জেলার তুখোড় রাজনীতিবীদ মনিরুল ইসলাম খান,কচুয়া উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সরকারি সি এস পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন মনিরুল ইসলাম খান এস-এস-সি পাশ করার পর ভর্তি হন পিরোজপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে সেখান ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হন এইচএসসি পাশ করার পর চলে যান ঢাকা। রাজনীতিতে তার পারদর্শীতা অনেক দূরে নিয়ে যায় তাকে। অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক সফল মেয়র প্রয়াত বীর-মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার এপিএস হিসেবে নিযুক্ত হন। আস্তে আস্তে রাজনীতিতে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সকল ক্ষেত্রে। যখন সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-কে মিথ্যা-বানোয়াট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গ্রেফতার করা হয় তখন মনিরুল ইসলাম খান কে বলা হয় মিথ্যা সাক্ষী দিতে তিনি জিয়া পরিবার এবং তার দল ও কর্মীদের কথা চিন্তা করে মিথ্যা স্বাক্ষী দেন নাই বরং মিথ্যা মামলায় তাকে ৭ বছর কারাবন্দী থাকতে হয়। তার জীবন-যৌবন কাটে কারাগারের অন্ধকারে। জেলের অন্ধকারে থেকেও দলের নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রেখেছেন। তিনি ইচ্ছে করলে অনেক সুখ-শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারতেন কিন্তু তা তিনি করেন নাই, কারাগারে জীবন অনিশ্চতায় জেল খেটেছেন । অনেক বড় সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও জননেত্রী বেগম খালেদা জিয়া – নিজের দল ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে সকল সুখ শান্তি ও পরিবারের সদস্যদের ত্যাগ করে ৭ বছর কারাবন্দী ছিলেন। তার উপর চলেছে অমানবিক নির্যাতন।
৫ আগস্টের পর সবাই ত্যাগি নেতা সেজেছেন। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। খোজ নিয়ে দেখবেন অনেকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এবং পিঠ বাচানোর জন্য হাসিনা সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। আজকে দলের সুসময়ে বড় ত্যাগি নেতা সেজেছেন। ১৭ বছর যারা দলের দুঃসময়ে পাশে থেকেছেন কর্মীদের খোঁজ খবর নিয়েছেন আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হোক।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন আমি ছোটবেলা থেকেই জিয়ার আদর্শকে মনে প্রানে ভালোবাসে আসছি। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবীত হয়েই রাজনীতিতে আমার আশা। আমি নেতা হতে আসিনি, এসেছি জনসাধারণকে ভালোবেসে, তাদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে, তাদের বন্ধু হয়ে সকলের ভালোবাসা নিতে।
দল এবং জনসাধারণ যদি চায় তাহলে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবো।অন্যথায় দল যদি অন্য কাউকে নমিনেশন দেয় তাহলে তার হয়ে কাজ করবো।আমি দলকে মনেপ্রাণে ভালোবাসি তাই দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে আমি নই।
বাগেরহাট ২ আসনের সর্বস্তরের জনসাধারণ এই ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত নেতাকে আসন্ন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে এম পি হিসাবে দেখতে চায়।