1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে, কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
‎কোটচাঁদপুরে বয়লার বিস্ফোরণে আহত আলমগীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন মহেশপুর ইউএনও খাদিজা আক্তার বারহাট্টায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ  সিংড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু রাবেয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নীলফামারী জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় দিয়ারপাড়া ও সুজাপাড়া কবরস্থানের মেইন গেটের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন দেশের সেরা স্পাইন সার্জনদের একজন — ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার শহরের বহু এলাকা রাজাপুরে অর্ধযুগ ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদানে নিবেদিত ছালমা যুব সংস্থা ও শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে দিনাজপুর মহিলা পরিষদের শোক র‌্যালী রাণীশংকৈলে ১১ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার, জরিমানা ২০ হাজার

দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে, কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২০ জুন, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

 

আজ ২০শে জুন শুক্রবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, কলকাতা প্রেসক্লাবে, দেশ বাঁচাও গণমঞ্চের ডাকে, এক সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। বিজেপি ও আরএসএস-এর অপ্রোপচারের বিরুদ্ধে , কালিমালিপ্ত বাংলাকে বাচাতেই এই সম্মেলন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চিত্র পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী, কবি আবুল বাশার, সঙ্গীত শিল্পী সৈকত মিত্র, দোলা সেন, বিশিষ্ট ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী, সুমন ভট্টাচার্য্য সহ অন্যান্যরা।

উপস্থিত বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানো, হিন্দু মুসলমানের ভিতরে বিভাজন সৃষ্টি করা ছাড়াও বাংলা এবং বাঙালিকে কালিমালিপ্ত করার ভিন্ন ষড়যন্ত্র প্রতিনিয়ত করে চলেছে আরএসএস ও বিজেপি।

বাংলা এবং বাঙালিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্রই তাদের নবতম সংযোজন, বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত একটি চলচ্চিত্র -বেঙ্গল ফাইলস, টিজার ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে চলে এসেছে, এর মাধ্যমেই জানা যাবে কিভাবে কালিমা লিপ্ত করার প্রচেষ্টা চলেছে। বিবেক অগ্নি, ইতিপূর্বে কাশ্মীর ফাইলস একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি যারাই দেখেছেন তারাই বুঝবেন সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানো ব্যতীত ওই চলচ্চিত্রটির অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না

তারা বলেন যেকোনো নির্বাচনে আগে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানো বিজেপির একটি পুরানো রাজনৈতিক ছক, এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে তারা এই কৌশল কাটিয়েছে, এই রাজ্যেও এবার ভোটের আগে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে বিজেপি নেতারা কোমর বেঁধে নেমেছেন।। মুর্শিদাবাদ ও মালদাতে তারা সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র করেছেন, তাও প্রমাণিত। এই রাজ্যের হিন্দু মুসলমান জনগোষ্ঠী এবং রাজ্য প্রশাসন বিজেপির এই ষড়যন্ত্র বানচাল করে দিয়েছেন।

তথ্যের বিকৃতি ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যতে কাশ্মীর হয়ে যাবে, বিধানসভা ভোটের আগে পূজার মুখে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই ,এই বেঙ্গল ফাইলস রিলিজ করা হচ্ছে, তা বুঝতেও খুব বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না। বাংলার সম্প্রীতি শিকড় এতটাই গভীরে যে হাজার প্ররচনাকে ব্যর্থ করে বাংলা বারবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞান গবেষণা এই বাংলায় সারা ভারতে পথ দেখিয়েছে।

জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, সত্যেন বসু ,মেঘনাথ সাহা এই বাংলায় বিজ্ঞান গবেষণা করে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের মুকুটে পালক এনে দিয়েছিলেন। এই বাংলাতেই রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাবনায় উদ্ভাসিত রেনেসাঁ আন্দোলন প্রগতি এবং শিক্ষার আলোক দেখিয়েছে সমগ্র ভারতবাসীকে। এই বাংলায় চৈতন্যদেব থেকে রামকৃষ্ণ দেব, রামপ্রসাদ সেন থেকে লালন ফকির , সর্ব ধর্মের সমন্বয়ের বাণী শুনিছেন ভারতের মানুষকে। রবীন্দ্রনাথ এবং নজরুল বাংলায় সংস্কৃতিকে বেঁধেছেন বিশ্ব মানবতার সুরে, বাংলায় মানুষ তাই বিজেপি আরএসএস এর ঠিক করে দেওয়া হিন্দুত্বের সংজ্ঞা মেনে নেবে না।

শিক্ষা থেকে ক্রীড়া , চলচ্চিত্র থেকে সংগীত, অমর্ত্য সেন থেকে সত্যজিৎ রায়, প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঙালি মনীষা তার অবিস্মরণীয় স্বাক্ষর রেখে গিয়েছে, বাংলা এবং বাঙালি অনাসেই গর্ব করে বলতে পারে এই বাংলায় বারে বারে বিশ্বের দরবারে ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছে,

দেবী দুর্গাকে শুধু দেবী নয় কন্যা জ্ঞানে আহ্বান করে বাঙালি, তার জ্বলন্ত কাঠামো প্রদর্শন করা মানে বাঙালির ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত করা যারা মিথ্যা প্রচার রটায় তারা জানে না বাংলার দুর্গোৎসব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।, এটাই প্রমাণ করে হিন্দু ধর্মা চরণে এই রাজ্যে কোথাও কোনো আঘাত লাগেনি। বরং সম্প্রতি একটি সংবাদে আমরা দেখেছি দিল্লির বিজেপি সরকার একটি হিন্দু কালী মন্দির বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে বিজেপি এবং বিজেপির বংশধররা কিন্তু চুপ। এই রাজ্যের বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়করা বাংলাকে কালিমালিপ্ত করে বাঙালির পেটে লাথি মারতে চান , বাংলায় চালু সামাজিক প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করতে দিল্লিতে দরবার করেন তারা, বাঙালি যুবক যুবতীদের চাকরি আটকাতে আদালতের দারস্ত হতে দ্বিধা হয় না তাদের। এরা যে সত্যি বাঙালির বন্ধু নয়, এই নিয়ে কোন দ্বিধার অবকাশ নাই।

বিজেপির এই বাঙালি বিদ্বেষ অবশ্য নতুন নয়, এর আগেই আমরা দেখেছি ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাঙালি শ্রমিকদের বাংলাদেশি তকমা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সম্প্রতি ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বেশ কয়েকজন বাঙালি শ্রমিককে বাংলায় কথা বলার অপরাধে, বৈধ পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশী তকমা দিয়ে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তারা বৈধ পরিচয়পত্রে জেনেই ফিরে আসতে পেরেছেন।

আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাংলার মানুষকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছেন, খেলা থেকে মেলা, পুজো থেকে থেকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সকল মানুষকে একসাথে বাধার চেষ্টা করেছেন, বাঙালি দুর্গোৎসব শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক উৎসব, সর্ব ধর্মের সর্ব বর্ণের মানুষ এই উৎসবে নানাভাবে জড়িয়ে থাকেন, এমনকি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় স্থানগুলির উন্নতি কল্পেও রাজ্য সরকার সব সময় সচেষ্টা ,
তাই যারা বাংলার বিরুদ্ধে এই কুৎসা রটনা করছে ,তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে, বাংলা বড় কঠিন ঠাঁই, বাংলার শিল্পী সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ উদ্যোগপতি ক্রীড়াবিদ যারা বাংলায় জল হওয়ায় বড় হয়েছেন, বাংলাকে ভালোবেসেছেন। আমরা জানি কুৎসার বিরুদ্ধে সত্যের জয় হবে ই।

রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি