মোঃ লিটন উজ্জামান কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :-
সাংবাদিক সম্মেলনে নিজের কম্পিউটার শিক্ষার সনদপত্র সঠিক রয়েছে বলে দাবী করেছেন, ভেড়ামারা আর্দশ ডিগ্রী কলেজের জ্যেষ্ট প্রভাষক এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শামসুজ্জোহা রঞ্জু। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি কম্পিউটার শিক্ষার সনদ নিয়ে অভিযোগ উঠায় তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন ডকুমেন্টস উপস্থাপন করে সনদপত্রের সত্যতা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। ২৩ বছর সুনামের সাথে দায়িত্ব পালনের পর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব নেওয়ার কারনেই ফ্যাসিষ্টের সহযোগী এবং দোষররা এই ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বোর্ড কর্তৃক কম্পিউটার শিক্ষার ভেরিফায়েড সার্টিফিকেট এবং ২০০৫ সালে কম্পিউটার প্রশিক্ষন কোর্সে সান্ধ্যকালীন ব্যাচে অংশগ্রহনের অনুমোদন কপি সহ বৈধ সকল কাগজপত্র সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি প্রদর্শন করেন। এসময় কলেজের বিদ্যেৎসাহী সদস্য ভেড়ামারা বিজেএম ডিগ্রী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আসলাম উদ্দীন এবং ভেড়ামারা পৌর বিএনপির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু দাউদ সহ কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিভিন্ন ডকুমেন্টস উপস্থাপন করে শামসুজ্জোহা রঞ্জু বলেন, ২০২৪ সালের ৫ অগাষ্টের পর ফ্যাসিষ্ট সরকারের মত ভেড়ামারা আর্দশ কলেজের ফ্যাসিষ্ট দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান কে অপসারন করা হয়। এর পর বৈধ ভাবে শামসুজ্জোহা রঞ্জু কে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই নানাভাবে ষড়যন্ত শুরু হয় তার বিরুদ্ধে। কলেজ উন্নয়নে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সহ তাকে আটকানোর চেষ্টা করছে ফ্যাসিষ্ট’র সহযোগীরা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০২ সালের ৮ জুলাই কলেজে যোগদান করে অক্টোবরে এমপিও ভুক্ত হন তিনি। কম্পিউটার শিক্ষার বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষন নেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৫ সালের ২০ জুন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত কম্পিউটার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “এস এন্ড এস কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র” ভেড়ামারা কুষ্টিয়াতে ৬ মাস মেয়াদী সার্টিফিকেট ইন ডাটাবেজ প্রোগ্রামিং কোর্সে অংশগ্রহনের আবেদন করেন। তৎকালীন সময়ের অধ্যক্ষ আ স ম রেজাউল করিম সান্ধকালীন র্কোসে প্রশিক্ষনের অনুমতি প্রদান করেন। এ বিষয়ে ১৭/০৬/২০০৫ তারিখে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কমিটির বৈঠকে অনুমোদনও দেওয়া হয়। নিয়োগের পর থেকেই সততা আর নিষ্টার সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কোনদিন কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিতও হয় নি। গত ১৯ অগাষ্ট ২০২৪ তারিখে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ’র দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই ফ্যাসিষ্ট’র সহযোগী সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান এবং অনান্য সহযোগীরা উঠে পড়ে লেগে তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কলেজের ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রভাষক আব্দুল কাউয়ুম গত ৮-৮-২০২৪ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে কম্পিউটার সনদপত্র জাল উল্লেখ করে, শামসুজ্জোহা’র বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগ টি মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দ্যেশ প্রনোদিত বলে প্রমানিত হয়। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে খুলনা অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ পরিচালক (কলেজ)’র কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে মৌখিক সাক্ষাৎকার প্রদান করেন শামসুজ্জোহা রঞ্জু।