মো: তানজিম হোসাইন
স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়া মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কারণে রাজধানীর এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি। ফলে বাংলা প্রথম পত্রের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাটি দিতে পারেননি তিনি। মানবিক এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমলে নেয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আনিসা আহমেদ রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাংলা কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী। জানা যায়, পরীক্ষার দিন সকালে তার মা হঠাৎ স্ট্রোক করলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা না থাকায় আনিসা নিজেই তাকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। এরপর দৌড়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে এলেও নির্ধারিত সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় তাকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক ও শিক্ষা মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টা দপ্তরের প্রেস উইংয়ের নজরে এলে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, শিক্ষার্থীর এ অবস্থাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সিআর আবরার এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানবিক বিবেচনায় আনিসা আহমেদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা পুনরায় নেয়ার সম্ভাব্যতা জনসাধারণের পাবলিক পরীক্ষা নীতিমালা ও সংশ্লিষ্ট আইন-বিধির আলোকে যাচাই করে সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। তার এই কঠিন সময়ে আমরা তার পাশে আছি। পরীক্ষার্থী যেন উদ্বিগ্ন না হয়—এ অনুরোধ করছি।”
এ ঘটনাটি শিক্ষা ব্যবস্থার মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে নিয়মের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীর সামাজিক বাস্তবতাও বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন বলে মত দিচ্ছেন অনেকেই।