কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় স্বামীর পরকীয়ায় স্ত্রী ও সন্তানরা নিঃস্ব হয়েছে স্বামী খুঁজে পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে স্ত্রী।স্বামীর পথ চেয়ে এখনও বসে আছে স্ত্রী আসমা আক্তার(৩৩).! উপজেলার বড় হাতিয়া ৩ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মালপুকুরিয়া’র নুরুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোছেন(৩৭) স্ত্রী ও চার সন্তান’কে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে চলে যান। যার কারণে সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।স্বামীর পরকীয়ায় সংসারে নেমে আসে এক অমানিশার অন্ধকার। তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে সেই সোনার সংসার তাসের ঘর হয়ে যায়। আসমা আক্তার বলেন স্বামী দেলোয়ার হোছেন পরকীয়া আসক্ত হয়ে বিয়ে করেন অন্য এক নারী’কে। এতে করে প্রথম স্ত্রী আসমা আক্তার সন্তানদের নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। প্রবাস থেকে দেশে এসে স্ত্রী ও সন্তানদের রাখেননি কোনো খোঁজ। স্ত্রী আসমা আক্তার বলেন, ইমু গ্রুপ কলের মাধ্যমে প্রবাসে থাকা অবস্থায় পরিচয় অন্য এক নারীর সাথে। পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে আমাদের নিচ্ছে না কোনো খোঁজ। ধার দেনা করে দেলোয়ার হোছেন’কে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন পাঠানো হয়। কিন্তু অন্য নারীর প্রেমে আসক্ত হয়ে সন্তান ও স্ত্রীর কোনো খোঁজ রাখেন না। স্বামী ও সন্তানদের অধিকার ফিরে পেতে প্রশাসন ও সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। তিনি আরও জানান, গত বছর দ্বিতীয় স্ত্রী’কে নিয়ে বাংলাদেশে এসে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায় । সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১৪ বছর আগে পারিবারিক ভাবে একই উপজেলার – বড় হাতিয়া ৩ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মালপুকুরিয়ার নুরুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোছেন সাথে, জাহাঙ্গীরের মেয়ে আসমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে চারটি সন্তান রয়েছে। কয়েক বছর সংসার ভালো চললেও হঠাৎ নামে অন্ধকারের ছায়া। স্ত্রী আসমা আক্তার স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে ধার দেনা করে দেলোয়ার হোছেনকে ২০১২ সালে বাহারাইন পাঠান। বাহারাইন থেকে ১ বছর থাকার পর তিনি কাউকে না জানিয়ে দেশে চলে আসেন। পরে কয়েক মাস যেতেই তার স্ত্রী আসমা আক্তার জানতে পারেন তিনি দেশে এসেছেন এবং অন্যত্র নারীর সাথে রয়েছেন, আসমা আক্তার বলেন পরকীয়ার সম্পর্ক একটি বিষাক্ত সম্পর্ক। একটি সুন্দর, হাসিখুশি সুখের সংসার নিমিষেই গুঁড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এই পরকীয়ার সম্পর্ক, বর্তমান সময়ে এক মহামারির নাম পরকীয়া এমন অবৈধ সম্পর্কের কারণে সংসারে অশান্তি-ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে পরকীয়ার অন্তর্নিহিত কু-শক্তি দুটি পরিবার ও পরিবারের সদস্যদের কাটানো ধারাবাহিক জীবনকে লণ্ড-ভণ্ড করে দিয়েছে। জানা যায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ধার নিয়ে দেলোয়ার হোছেন আত্মগোপনে রয়েছেন।বর্তমানে দেলোয়ার হোছেনর মেয়ে তাস মোবা, নিহাদ, নূর হোসেন, স্কুলে পড়াশোনা করলেও তা এখন বন্ধ রয়েছে, পাশাপাশি তার ছেলে এমরান ও শাওনের পড়াশোনা বন্ধ রয়েছে, সংসারের বোঝা টানতে কাজ করছেন তারা। সন্তানদের খোঁজ খবর না রাখায় আসমা আক্তার পড়েছেন বিপাকে। অর্থাভাবে দিন কাটছে তাদের। একদিকে পরকীয়ায় আসক্ত হয়েছে, অন্যদিকে টাকা পরিশোধের ভয়ে এলাকায় গাঁ ঢাকা দিয়েছে। দ্রুত তাকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। স্থানীয়রা প্রভাবশালী এক নেতা প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী বাতিজা হয়, প্রবাসী স্বামীর পরকীয়ার ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়, যেখানে দেখা যায় স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ছেন। এর পেছনে কিছু কারণ থাকতে পারে, যেমন – স্বামীর প্রবাসে দীর্ঘ অনুপস্থিতি, একাকিত্ব, অর্থনৈতিক অভাব, বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের অভাব। কিছু ক্ষেত্রে, পরকীয়া এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, হত্যার মতো নৃশংস ঘটনাও ঘটে। সুখের সংসার” ছেড়ে প্রেমিকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া একটি জটিল পরিস্থিতি। সাধারণত, এটি বিবাহিত জীবনে অনৈতিক সম্পর্ক এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে ঘটে থাকে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে, উভয় পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।মা-বাবার সম্পর্কের অবনতির প্রভাব পড়ে বাচ্চাদের ভেতরও। তীব্র মানসিক বা শারীরিক প্রয়োজন, অথবা নিছক একটা আগ্রহ থেকে অনেকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এটি একপর্যায়ে যেমন মনের ওপর ভীষণ চাপ ফেলে, তেমনি এর প্রভাব পড়ে সন্তানদের ওপরও। মা কিংবা বাবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বাচ্চাদের ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরকীয়া, অবৈধ প্রেমপ্রীতি ও যিনাব্যাভিচারের ভয়াবহতা, ইসলামী আইন অনুযায়ী দুনিয়াতে এর কঠিন শাস্তি, আখিরাতের আযাব, আল্লাহর অসন্তুষ্টি ইত্যাদি বিষয়গুলো বুঝানো।এ ব্যাপারে দেলোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।