1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৬:১২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
‎কোটচাঁদপুরে বয়লার বিস্ফোরণে আহত আলমগীরকে আর্থিক সহায়তা দিলেন মহেশপুর ইউএনও খাদিজা আক্তার বারহাট্টায় প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ  সিংড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু রাবেয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির নীলফামারী জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত ভাঙ্গুড়ায় দিয়ারপাড়া ও সুজাপাড়া কবরস্থানের মেইন গেটের ভিত্তি প্রস্তুর স্থাপন দেশের সেরা স্পাইন সার্জনদের একজন — ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান পলাশ টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার শহরের বহু এলাকা রাজাপুরে অর্ধযুগ ধরে স্বেচ্ছায় রক্তদানে নিবেদিত ছালমা যুব সংস্থা ও শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্যরা, বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানিতে দিনাজপুর মহিলা পরিষদের শোক র‌্যালী রাণীশংকৈলে ১১ কেজি ওজনের কচ্ছপ উদ্ধার, জরিমানা ২০ হাজার

ঝিনাইগাতীতে ফাকরাবাদ বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি অবৈধ দখলে

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

 

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর:
শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার ৩নং নলকুড়া ইউনিয়নে দেশ স্বাধীনতার আগে মহারশি নদীর পার ঘেষে স্থাপন করা হয়েছিল সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর নামে বিডিআর ক্যাম্পের বাজার।ততকালীন ক্যাম্পের সরকারি কর্মকর্তা বিডিআর ফোর্স ও স্থানীয় এলাকাবাসীর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা মেটাতে ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী একটি বাজার বসানো হয়েছিল।তাই সবার কাছে ক্যাম্পের বাজার নামে পরিচিত ছিল।ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পের বাজারে স্বাধীনতার পূর্বে থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ এ বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদি ক্রয়-বিক্রয় করতো। মহারশি নদী পথে যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকাররা এখান থেকে কৃষি পন্য সারাদেশে আমদানি রফতানি করতো।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানির তোরে বাজারের কিছু অংশ জমিসহ বিডিআর ক্যাম্পটি মহারশি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।পরে এলাকার নামানুসারে বাজারটি নাম রাখা হয় ফাকরাবাদ বাজার নামে পরিচিত হয়ে উঠে।কিন্তু কালের বিবর্তনে বাজারের জমিতে স্থানীয়রা স্থায়ী অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে দখল করে নেয় বাজারের পৌনে দুই একর সরকারি জমি। ফলে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে বাজারটি।আশির দশকের পরে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বাজারে জায়গা না পেয়ে রাস্তার পাশে ভাড়াটিয়া হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।এতে ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের জামানত ও মাসিক ভাড়া।বাজারের ইজারাদার মোঃ সালাম বলেন,এই বাজারে ততকালীন প্রতিবছর ইজারা ডাক হতো ৬০ হাজার টাকা। আর এখন বছরে মাত্র ১৪ হাজার টাকা ইজারা ডাক হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অবঃ সেনা সদস্য মোঃ মজিবর রহমান বলেন,আমার বাপ-দাদার আমলে এই বাজারে গরু মহিষ ছাগল ভেড়া হাস মুরগী ধান চাউলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বেচাকেনার ঐতিহাসিক বাজার হিসেবে পরিচিত ছিল।কিন্তু বর্তমানে বাজারের সমুদয় জায়গা অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিয়েছে। তারা নিজেরাও ব্যবসা করেনা এবং কি অন্যকেও ব্যবসা করতে দেয়না।অবৈধভাবে ঘর করে দিচ্ছে মাসিক হারে ভাড়া। তাই সরকার প্রতিবছর মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বাজার থেকে বঞ্চিত রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন,যদি সরকার অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে বাজারের জায়গা উদ্ধার করে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের মাঝে বরাদ্দ দেয়। তাহলে বাজারটি সচল হওয়ার পাশাপাশি বছরে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি