মারুফ সরকার, প্রতিবেদক :
কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙে প্রবাসীর স্ত্রী ধর্ষণের তোলপাড় করা ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি)’র চেয়ারম্যান গোলাম রাব্বানী। রবিবার রাতে এক বার্তায় তিনি, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত সকল মামলার বাদীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক বহন শতভাগ নিশ্চিত করার দাবী জানান।
তিনি আরো বলেন, দেশে যেভাবে আশংকাজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, তাতে প্রমাণ হয় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রচন্ড অবনতির দিকে। কুমিল্লার নেক্কারজনক ঘটনায় সকলকে খুব দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করতে হবে।
এছাড়া আপামর গণমানুষের পক্ষ থেকে ধর্ষণের লাগাম টানতে ও ভুক্তভোগীর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে টিম পজিটিভ বাংলাদেশ (টিপিবি)’র পক্ষ থেকে তিনটি ন্যায়সংগত দাবী তুলে ধরবন।
১.অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্য মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে, অনতিবিলম্ব বিদ্যমান ১৬০ বছর পুরনো, সেকেলে দণ্ডবিধি আইন সংশোধন।
২. ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত ফৌজদারি আমলযোগ্য অপরাধে, যেকোনো পর্যায়ে সালিশ-বিচার মীমাংসার নামে প্রহসন বন্ধ করতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান।
৩. ধর্ষণ মামলায় বাদী তথা ভুক্তভোগীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ ও মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যয়ভার রাষ্ট্র কর্তৃক বহন শতভাগ নিশ্চিত করা।
প্রসঙ্গত, হোমনা থেকে মুরাদনগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে আগে থেকে পরিচিত ফজর আলী ২৬ জুন রাতে কৌশলে দরজা খুলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ফজর আলী চলে যাবার সময় ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে আটক করে এবং মারধর করে। এ সময় কয়েকজন ওই নারীর বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে। আহত অবস্থায় অভিযুক্ত ফজর আলীকে নিয়ে তার স্বজনরা পালিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার ফজর আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।