মোঃ মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ০২/০৭/২০২৫ ইং
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (উদ্যান) পদে পদোন্নতি পেলেন শাহজাদপুর উপজেলার সুযোগ্য কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব জেরিন আহমেদ।
তিনি তার কর্মজীবনের দুই বছরের অধিক সময় শাহজাদপুর কৃষি অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তার বিচক্ষণতা ও কর্মদক্ষতা দিয়ে শাহজাদপুরের কৃষিকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়েছেন। তার সময়ে যেমন শস্য নিবিড়তা, অপ্রচলিত ফসলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের চাষ ও বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে শস্য নিবিড়তা ছিল ২১০.৪৮% যা তার কার্মদক্ষতায় বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হয়েছে ২১৪.২৭%। তার উদ্যোগে শাহজাদপুর উপজেলায় সরিষা উৎপাদন অনন্য মাত্রায় পৌঁছিয়েছে । ২০২১-২২ অর্থবছরে ১২৭৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা উৎপাদন হলেও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৬০০০ হেক্টর। সরিষা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে মধু উৎপাদনেও। ২০২১-২২ অর্থবছরে মধু উৎপাদন ছিলো ১১,৫৬৬ কেজি যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪,৪২৬ কেজি।বোরো ধান বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০০ হেক্টর এবং রোপা আমনের ক্ষেত্রে তা ২৫ হেক্টর। শাহজাদপুরে রোপা আউশ ধানের আবাদ প্রচলন শুরু হয় তারই হাত ধরে যা ১৫ হেক্টর অব্দি পৌঁছিয়েছে। ধানের ক্ষেত্রে স্থানীয় জাতের আবাদ হ্রাস পেয়ে হাইব্রিড ও উফসী বৃদ্ধি পেয়েছে। উফসী জাতের মধ্যে ব্রিধান ১০০, ব্রিধান ১০১, ব্রিধান ১০২ ও ব্রিধান ১০৮ জাতের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। শাহজাদপুরে উচ্চমূল্যের ফসল স্কোয়াশ আবাদের প্রসার প্রচার শুরু হয়েছে তারই হাত ধরে। তারই কর্মদক্ষতায় শাহজাদপুরে এক ফসলি জমি কমে দুই ফসলি জমি ১৩৯ হেক্টর ও তিন ফসলি জমি ৩০ হেক্টর পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে।
সবশেষে বলা যায়,তার নিরলস প্রচেষ্টায় শাহজাদপুরের কৃষি ও কৃষক এর উন্নতি হয়েছে এবং পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার বিচক্ষণতায় শাহজাদপুরবাসী ছিলো মুগ্ধ।