কামরুল ইসলাম চট্টগ্রাম
রাউজান হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ উল্লাহর চাঁদাবাজি এখনো থেমে নেই। স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও ভুক্তভোগী লোকজন জানিয়েছেন, অভিনব কায়দায় প্রতিনিয়ত যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছেন রাউজান হাইওয়ে পুলিশ অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ উল্লাহ।
স্থানীয়রা আরো জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়ম ও দুর্নীতি কিছুটা ভাটা পড়লেও রাউজান হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজিতে এখনো ভাটা পড়েনি। অভিযোগ রয়েছে, রাউজান হাইওয়ে পুলিশ চাঁদাবাজির ধরণ পাল্টিয়ে দিবারাত্রি যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করছেন।
তবে চাঁদাবাজি বা অন্য কোন অপরাধে হাইওয়ে পুলিশ জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের এডিশনাল ডিআইজি।
গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়ে রাউজান হাইওয়ে পুলিশে টোকেন প্রতি ৩শ টাকা নেওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ধরণ পাল্টিয়ে গাড়ী প্রতি চাঁদার হার দ্বিগুণ বাড়িয়ে নিচ্ছেন এখানকার হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
নিরুপায় হয়ে সিএনজি ও টমটম সমিতির নেতাদের মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশের ধার্য্যকৃত টাকা দিয়ে দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। না দিলে তাদেরকে সড়কে বিভিন্ন ধরণের হয়রাণী করেন হাইওয়ে পুলিশরা।
এদিকে হাইওয়ে পুলিশের ভিন্ন ষ্টাইলের চাঁদাবাজির আওতায় না আসায় অনেক সিএনজি চালককে হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে বলে ভুক্তভোগী সুত্রে জানাগেছে। রাউজান হাইওয়ে পুলিশ কর্তৃক হয়রাণীর শিকার ,এলাকার ড্রাইভার সরওয়ার ইসলাম। তিনি সিএনজি নিয়ে রাউজান হাইওয়ে পুলিশ ক্রস করার সাথে সাথে পুলিশ এসে তাকে সড়কে আটকে অহেতুক দাঁড় করিয়ে রাখে। অপরাপর গাড়ী যাতায়াতে ছেড়ে দিলেও সরওয়ারকে সিএনজিসহ ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। তাঁর (সরওয়ারের) লাইট ক্যাটাগরীর আপডেট ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ীর সব কাগজ থাকার পরও ত্রি হুইলার ক্যাটাগরীর ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই জানিয়ে মামলা দিয়েছেন। ভুক্তভোগী সরওয়ার এ প্রতিবেদককে জানান, অনেক বছর গাড়ী চালাচ্ছি। লাইট শ্রেনীর ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকার পরও তাদের টোকেন সিস্টেমে না করায় আমাকে পরিকল্পিতভাবে অহেতুক হয়রাণী করেছে হাইওয়ে পুলিশ। জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এই বিষয়ে বিস্তারিত স্বচোখে দেখতে প্রতিনিধি রাউজান হাইওয়ে সড়কে এবং থানায় গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরে রাউজান হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন প্রতিদিন এবং মানসিক যেই চাঁন্দা সাংবাদিক সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের দিতে হয় তাকি বাড়ি থেকে এনে দেব এই প্রশ্নের উত্তরে প্রতিনিধি বলেন আমাকে কোন দিন দিয়েছেন অথবা দেখেছেন প্রতিনিধির এই প্রশ্নের উত্তরে ওসি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন আপনি না আসলে ও আপনার সাংবাদিক ভাইয়েরা আসেন তখন প্রতিনিধি বলেন টাকা দেন কেন নিশ্চয়ই আপনার অবৈধ কার্যক্রম জাতির সামনে তুলে না ধরার জন্য এবং আপনি দূর্নীতি ও অনিয়ম করেন বলে তাই।