স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামের মৃতঃ একরামুল হক মন্ডল এর ছেলে এমরান হক পিজন মন্ডল (৩৫) সাথে থৈকরের পাড়া গ্রামের করিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আফতাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব আলী ও জয়নাল ছেলে টুকু মিয়ার জমি নিয়ে বিবাদ ঘটনায় চলমান মামলা তুলে নিতে বাদি পরিবারকে হত্যার হুমকি অতঃপর ভুক্তভোগী থানায় জিডি।
মামলা সুত্রে জানাযায়, সম্প্রতি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আফতাব উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব আলী ,টুকু মিয়া সহ ২০/২৫ একটি সন্ত্রাসী দল লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিজন মন্ডল এর তফসিল বর্ণিত জমিতে প্রবেশ করে টিনশেড ঘর ভাঙচুর সহ গাছ কর্তন করে অনুমান এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ খবর পেয়ে প্রিজন মন্ডল এর স্ত্রী পপি বেগম ঘটনা স্থলে এসে বাঁধা প্রদান করলে তাকে এলোপাতারী মারপিটসহ শীলতাহানী ঘটায় ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সে আত্মচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
এ সময় তারা ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। উপায়ন্ত না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে সাঘাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে আসলে তারা চলে যায়। পরে, আহত পপি বেগম স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয় ।
এ ঘটনায় পপি বেগম বাদী হয়ে সাঘাটা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২০।
এদিকে, উল্লেখিত বিবাদীরা গাইবান্ধা আদালত হতে জামিনে এসে প্রিজন মন্ডলের স্ত্রীর দায়ের করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পিজন মন্ডলকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি দেখাইতে থাকেন। এরই জেরধরে গত ২৯জুন ২০২৫ইং তারিখে রাত অনুমান ৯টা ৩০ মিনিটে ঝাড়াবর্ষা গ্রামের পাগলা খালী নামক স্থানে পাকা রাস্তার উপরে পৌঁছিলে উল্লেখিত বিবাদী সহ আমিরুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম গং পিজন মন্ডলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মামলা তুলে নিতে বলা সহ আবারো মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়িত করবেন বলে হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় পিজন মন্ডল বাদী হয়ে গত ০১মে ২০২৫ইং তারিখে সাঘাটা থানায় একটি জিডি করেন। যার জিডি নং ২২। পিজন মন্ডল জানান, আমি সহ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।প্রশাসনের নিকট ভূমি খেকো সন্ত্রাসীদের শাস্তি সহ গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।