মারুফ সরকার, প্রতিবেদক :
বৃহস্পতিবার ইডেন মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার কর্তৃক প্রত্যেক বিভাগীয় প্রদানের কাছে নোটিশ প্রদান করেন যে,ইডেন মহিলা কলেজ সাংবাদিক সমিতির সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতিটি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সংগঠনের গঠনতন্ত্র প্রণয়ন ও অনুমোদনপ্রকল্পে পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এর সকল কার্যক্রম যেমন -প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াতে সংবাদ/অডিও/ভিডিও চিত্র প্রকাশ বা প্রেরণ স্থগিত করা হলো।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ইডেন মহিলা কলেজের নাম ব্যবহার করে ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির সকল কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মাঝে জানিয়ে দিতে।
ইতিমধ্যে নোটিশটি সকল বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের সাথে আলোচনা করা হয় নি।
ইডেন কলেজ সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক স্মৃতি আক্তার বলেন,
আমি এই নোটিশ সম্পর্কে জানতে চাইলে ম্যাডাম বলেন আমাকে না জিজ্ঞেস করে কেন এই রেকর্ড নিউজ করেছো? আমি তাদেরকে কথা দিয়েছিলাম ভিডিওতে ক্ষমা চাইতে হবে না ওদের সামনে এসে বললেই হবে। পরে আমি জানাই এই রেকর্ড আমি করিনি অন্য কেউ করেছে। কিন্তু যদি করেও থাকে রেকর্ডটি তো মিথ্যা না উপসচিব ক্ষমা চেয়েছে আরো অনেক কথা বলেছে তার ক্ষমা চাওয়ার কথাটাই নিউজ করেছি এটা তো কোন অপরাধ না। ম্যাডাম আমাকে বলে এটা কি তোমাদের সাইবার ক্রাইম অপরাধের মধ্যে পড়ে না? তৎক্ষণাৎ আমি বলি এটাতো আমি আর্টিফিশিয়াল রেকর্ডটা দেইনি তার মুখের কথাই আমি দিয়েছি সাংবাদিক হিসেবে এটা আমার দেওয়ার রাইট আছে। তাদের কথায় বোঝাতে চেয়েছিলেন যে কোন নিউজ দেওয়ার আগে তার জানতে হবে। কারন ইডেনের নাম জড়িয়ে আছে ইডেনের কারো কিছু হলে সেটার দায়ভার আমার উপরেই আসবে সেই দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমি এই কমিটির স্থগিত করেছি।
কিন্তু আমার কথা হচ্ছে যদি নিউজটি মিথ্যা হতো তাহলে সে বলতে পারত সত্য নিউজ করার পরেও এ ধরনের ফিডব্যাক আশা করি না আমি।আমার রেকর্ডিং নিউজ এর সাথে সাংবাদিক সমিতির কার্যক্রমের কি সম্পর্ক সেটি আমি বুঝতে পারি না।
অতঃপর আহ্বায়ক কমিটির সদস্যরা অধ্যাপক ড.সামছুন নাহার’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই নোটিশ সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ শামসুন্নাহার বলেন ইডেন কলেজ শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তারকে হেনস্তা করার অপরাধে উপসচিব আমার রুমে এসে ভিকটিমদের সামনে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি রেকর্ড করে কেন নিউজ করা হয়েছে। আমাকে পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেই নিউজটি দিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছে। আমি তাদেরকে কথা দিয়েছিলাম কোন ধরনের ভিডিও করে ক্ষমা চাইতে হবে না সামনাসামনি ক্ষমা চাইলেই হবে।কিন্তু তাদের দেয়া সে কথা রাখতে না পারায় আমার সম্মান রইল না । তাই তোমাদের এই আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়া পর্যন্ত কাজ করতে পারবেনা। আমি চাই প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে একজন করে সদস্য নিয়ে এই সাংবাদিক সমিতিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম শুরু হোক। তিনি আরো বলেন উপসচিবের এই রেকর্ড নিউজ করা একটি সাইবার ক্রাইম অপরাধের মধ্যে কি পড়ে না?
আমি তোমাদের কোন প্রশ্নের উত্তর এখন দিতে পারবো না আমি অসুস্থ।
নোটিশটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সংশয়। আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করার নোটিশটি আসলে দেওয়া হয়েছে উপসচিব কে নিয়ে নিউজ করার খোপ থেকে