মোঃ নুরুল ইসলাম , রাজবাড়ী প্রতিনিধি।।।
রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ একজন কর্তব্যনিষ্ঠ, দায়িত্বপরায়ণ, ন্যায়বান ও মানবিক কর্মকর্তা। তিনি উত্তরবঙ্গের জেলা সিরাজগঞ্জ সহ দেশের কয়েকটি জেলাতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের পর রাজবাড়ীতে যোগদান করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদের গ্রামের বাড়ী পাবনা জেলায়।
২০২৪ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখে বদলী সূত্রে রাজবাড়ী জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)’তে উপ-পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন। রাজবাড়ীতে বদলী হয়ে আসার পর থেকে তার কর্ম দক্ষতার পরিচয় দিয়ে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভুমিকা রাখার পাশাপাশি তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন রাজবাড়ী জেলাবাসীর।
অবৈধ মাদকসেবী ও মাদক বিক্রেতাদের কাছে মূর্তিমান আতংকের নাম হয়ে উঠেছেন উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ। আর সে কারণেই জনপ্রিয় অফিসার হয়ে উঠেছেন জেলার ৫টি উপজেলার ৩টি পৌরসভা ও ৪২টি ইউনিয়নের লাখো মানুষের কাছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ একান্ত সাক্ষাৎকারে দৈনিক বায়ান্ন’কে জানান, অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনার মাধ্যমে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও সন্ত্রাস ও মাদক কারবারীদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত দৌলতদিয়ার পুড়াভিটা ও যৌনপল্লীকে অবৈধ মাদক মুক্ত করার ব্রুত নিয়ে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি। এই পর্যন্ত তিনি রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ৮৩৬ টি অবৈধ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৭৭টি নিয়মিত মামলা এবং ১৩২টি মোবাইল কোর্ট মামলা করেছেন। এ সময় মাদকের সাথে জড়িত ১৮৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছেন ও ২০ জন আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানান আবু আব্দল্লাহ জাহিদ। অভিযান পরিচালনার সময় আলামত হিসাবে আসামীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৬৯ গ্রাম হেরোইন, ৪ হাজার ৪ শত ৪৪ পিস ইয়াবা, ৬৭ পিস ফেন্সিডিল, ১৩কেজি ৫১০ গ্রাম গাঁজা, ১ টি গাঁজার গাছ, ৭০ পিস ট্যাপেন্টা ট্যাবলেট, ১ টি পিস্তল, ১ বোতল বিদেশী মদ এবং ১০ লিটার চোলাই মদ। উক্ত অভিযান গুলো পরিচালনা করায় মানুষের মনে অনেকটাই সস্তি ফিরে এসেছে। এবং বর্তমানেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী অভিযান ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ আরও বলেন, অভিযান পরিচালনার সময় আমরা কোন দল বা বিশেষ কোন ব্যাক্তিকে প্রাধান্য দিচ্ছি না। অবৈধ মাদক যার কাছে পাওয়া যাবে তাকেই আইনের আওয়তায় আনা হবে। তিনি বলেন, আমাদের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সকল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে চলেছেন। এ সময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরও সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি সর্বদা চেষ্টা করছি নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে। মাদক সন্ত্রাস দমনে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে চলেছি। ভবিষ্যতেও জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ধরে রাখতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাবো।