আশরাফুল আলম সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের আপামর শিক্ষা ব্যবস্থা চরম ভাবে আজকে ভেঙ্গে পড়েছে। সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকেরা একযোগে অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করছে।
এখানে যেমন রয়েছে মানহীন শিক্ষা তেমনি রয়েছে দুর্নীতি। তেমনি রয়েছে বেসরকারি স্কুল যেমন কিন্ডারগাটেনে অভিভাবকদের পকেট কাটা। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির কথা এখানে বলছি।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও পদ্ধতি সব বিলুপ্তি করে নতুন আঙ্গিকে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পযর্ন্ত শিক্ষা চালু করা হোক। এবং শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত রাখা হোক। সকল শ্রেণি পেশার অভিভাবকেরা সমান সুযোগ গ্রহন করুক।
এককথায় শিক্ষা ক্ষেত্রে যেন কোনো বৈষম্য না থাকে।
তবে বিত্তবান অথবা বিত্তশালীদের সন্তানেরা তাদের যদি প্রাইভেট কোনো বিষয় থাকে বা যেকোনো অভিভাবক করতেই পারে ওখানে লেখকের কোনো আপত্তি নেই।
তবে দেশের স্বার্থে আজকে যেকোনো মূল্যে শিক্ষা পদ্ধতি আরো অত্যাধুনিক ফর্মূলায় করতে হবে ।
এবং কোমলমতি শিশুদের কথা মাথায় রেখে। কেজি পদ্ধতি। নার্সারি পদ্ধতি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। এই কেজি আর নার্সারি পদ্ধতি জাতির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
প্রথম শ্রেণিতে বই থাকবে একটি। এখানেই বিষয় থাকবে পাঁচ থেকে প্রয়োজনে সাতটি। দ্বিতীয় শ্রেনিতে বই থাকবে দুটি। তৃতীয় শ্রেনিতে বই থাকবে তিনটি এরকম ভাবে দশম শ্রেণিতে বই থাকবে দশটি।
সারাদেশ জুড়ে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ সকল প্রকার স্কুলে একই রকম বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষা পদ্ধতি চালু করতে হবে।
এছাড়া প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পযর্ন্ত সকল শিক্ষার্থীদের জন্য অবৈতনিক থাকবে শিক্ষা প্রদান। এবং এত বড় একটি বড় বাজেটর বিষয় কি ভাবে সরকার সামাল দিবে?
এই বিষয়ের উপর যথেষ্ট পরামর্শ আমি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর তেজগাঁও এ প্রেরণ করেছি। যা প্রয়োগ করলে দেশের আড়াই কোটি শিক্ষার্থীদের অবৈতনিক শিক্ষা প্রদান করানো সম্ভব।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশ্লেষক।