আলমডাঙ্গা প্রতিনিধিঃচুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা আনন্দধাম লিচুতলা নামক স্থানে কলা বেচার আড়ালে প্রতিনিয়তই চলে দেহ ব্যবসা। এখানকার কাস্টমার বেশিরভাগই স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়ে এবং প্রবাসীর বউ। এই সকল মানুষদের নিয়ে চলে তার নিত্যদিনের কার্যক্রম। শুধু তাই নয় কোন কাস্টমার তাকে ফোন দিলে মুহূর্তের মধ্যেই পতিতাদের ম্যানেজ করে নিজ বাড়িতে নিয়ে চলে তার এইসব কার্যক্রম। এলাকাবাসী একাধিকবার প্রতিবাদ জানালেও কখনো প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে, আবার কখনো নিজের পোষা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আবার কখনো বিভিন্ন মানুষের নাম ভাঙিয়ে স্তব্ধ করে রাখে এলাকাবাসীদের।
২৯ শে সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) চুয়াডাঙ্গা থেকে পতিতা এবং আলমডাঙ্গা থেকে এক প্রবাসীর বউকে নিয়ে তাদের কার্যক্রম চলাকালে ধরাখায় । স্থানীয়রা দুই জন ব্যক্তিকে অবৈধ কাজ করার সময় দেখে পেলে তাড়াহুড়া করে বাড়ির সর্দার ফুলমতি ২জন পুরুষকে আত্মীয়র পরিচয় দিয়ে বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে বাহির করে দেয়।
প্রথম পর্যায়ে সাংবাদিকদের উপর চড়া হলেও সময় মত সুর নরম করে হাতজোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করে। এদিকে তাদের কার্যকলাপ চলাকালী সময়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবহিত করলেও দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও কোন ফোর্স না পাঠালে স্থানীয় জনগণ এবং সাংবাদিকদের মাঝে মুচলেকা দিয়ে স্থান ত্যাগ করে ওইসব পতিতারা।
এদিকে পতিতার সর্দ্দার ফুলবানু বলেন আমার সংসার চালানোর জন্য আমি এইসব কার্যক্রম করি এখন থেকে আর করবা না। এবারের জন্য আমাকে মাফ করে দেন।
এ নিয়ে এলাকাবাসী এবং সচেতন মহলের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাদের দাবি তারা দীর্ঘদিন যাবত এই সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। আমাদের সমাজে যদি দেহ ব্যবসার মতো কার্যকলাপ প্রতিনিয়ত হতে থাকে এবং এর প্রতিবাদ না হয় তাহলে এমন একটি দিন আসবে, যা থেকে উত্তরণ করা সমাজের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যাবে। একটা ফুলবাগান নষ্ট করার জন্য একটি হুতুমপ্যাঁচায় যথেষ্ট।
এদিকে বাড়ির মালিক রফিক মোল্লা বলেন, আমার বাড়িতে দীর্ঘদিন ভাড়ায় নিয়ে তিনি এই ধরনের কাজ করেন আমি বলতে গেলে আমার উপরে চড়াও হয়। আমি তাকে বলেছি বাড়ি ছেড়ে দিতে কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে আমার বাড়ি এখনো ছাড়ে নাই