1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
রাঙ্গামাটিতে ১৯০০ সালে শাসন বিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গোলাম ফারুক খোকন ভাই কে জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে দেখতে চাই শামীম ভূঁইয়া মাদারীপুরের রাজৈরে আল্লামা রুহুল আমিন (রহঃ) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর শীতবস্ত্র বিতরণ ভূরুঙ্গামারীতে ভটভটি উল্টে চালকের মৃত্যু কেশবপুরের বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এর দায়িত্ব অর্পণ গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন গীর্জা পরিদর্শন করেন জিএমপি’র মাননীয় পুলিশ কমিশনার লালমনিরহাট আদিতমারীতে ১টি দেশী গাভীর পেট থেকে দুটি বাছুর প্রসব করেছে ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটিতে, কলকাতার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে জনজোয়ার, মানুষের ঢল সাভারে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গণহত্যার মামলায় জহিরুল ইসলাম পান্না গ্রেফতার মাদারীপুরের রাজৈরে আল্লামা রুহুল আমিন (রহঃ) ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর শীতবস্ত্র বিতরণ

রাঙ্গামাটিতে ১৯০০ সালে শাসন বিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি:-

চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন (পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি) ১৯০০ সালের আইন বাতিলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে রাঙামাটির একটি মানববন্ধন প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে। এতে রাঙামাটির বিশিষ্টজনরা আইনটিকে পাহাড়ের মানুষের ‘রক্ষাকবচ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বৃটিশ আমলেই শাসন হতে পরিচালিত পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯০০ সন কার্য্কর ।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে রাঙামাটি জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য ও শিক্ষাবিদ নিরূপা দেওয়ান, সাবেক উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তিবিজয় চাকমা ও রাঙামাটি জেলা হেডম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজাসহ কারবারী সমাজ সেবক শিক্ষানুরাগী সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন বক্তারা বলেন, সিএইচটি রেগুলেশন আইনটি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের রক্ষাকবচ। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জনগণ তথা স্থায়ী বাসিন্দারা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও প্রথাগত অধিকার ভোগ করে আসছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারকে সুরক্ষা না দিয়ে উল্টো তা আদালতের মাধ্যমে আইনটি বাতিল বা অকার্যকর করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ১৯০০ সালের আইনটির সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম আইন, জেলা পরিষদ আইন, আঞ্চলিক পরিষদ আইন সবগুলো ওতোপ্রোতভাবে জড়িত আছে। এখন এই আইনটি যদি বাতিল করা হয়; তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জনগণকে তীব্র ধরনের সংকটাপন্ন অবস্থায় ভুগতে হবে।

এসময় তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অধিকার সম্বলিত আইনে প্রতিষ্ঠিত শতশত বছরের প্রথা ও রীতির কার্যকারীতা নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে এর বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য ঐক্য আহবান জানান।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে রাঙামাটি ফুডস প্রোডাক্ট লিমিটেডের এক মামলায় হাইকোর্ট বেঞ্চ সিএইচটি রেগুলেশনকে ‘ডেড ল’ বা মৃতআইন বলে রায় দেয়। এ রায়ের ফলে ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি, পার্বত্য জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদসহ এবং সিএইচটি রেগুলেশনের সৃষ্ট প্রথাগত প্রতিষ্ঠানসমূহ আইনগত সংকটের মুখে পড়ে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হলে সুপ্রীমকোর্ট আপিল বিভাগের পূর্ণবেঞ্চ ২০১৬ সালে ২২ নভেম্বর সিএইচটি রেগুলেশনকে একটি কার্যকর ও বৈধ আইন বলে রায় দেয়। অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টে বিচারধীন ওয়াগ্গা ছড়া ‘টি স্টেট’ অপর এক মামলার ২০১৪ সালে ২ ডিসেম্বর রায় দেয়। এ দুটি রায়ই সিএইচটি রেগুলেশনকে কার্যকর আইন বলে রায় দেয়। উক্ত দুটি রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ আবেদন করেন খাগড়াছড়ি বাসিন্দার নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক দুই বাসিন্দা।

রাষ্ট্রপক্ষের এর্টনি জেনারেল রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে রিভিউর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়ে থাকা রাজা, ইনডিজিনাস শব্দসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শব্দ, বাক্য, অনুচ্ছেদ বাদ দিয়ে হলফনামা আকারে সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করেন। এ রিভিউ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বেঞ্চ গ্রহণ করবে কি-না তার ওপর আগামী ১১ জুলাই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি