মোঃ শফিয়ার রহমান খুলনা পাইকগাছা প্রতিনিধি।
পাইকগাছা উপজেলার ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নের সিলেমানপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী প্রায় ৫০ একর ফসলি জমিসহ ২ গ্রামের বসবাসরত মানুষের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার অবসান ঘটাতে এলাকাবাসী নিজেদের সহায়তা ও স্বেচ্ছাশ্রমে এবং ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার এর আর্থিক সহায়তায় শুক্রবার সকালে ৪০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ বসিয়ে পানি সরানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি ও গদাইপুর ইউনিয়নের (সিলেমানপুর – চরমলই) দুই গ্রামের বসবাসরত মানুষদের প্রায় ৫০ একর ফসলি জমির পানি দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে এলাকাসী বসবাসে যেমন ভোগান্তিতে পড়ে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমিতে ধান মাছসহ অন্যান্য ফসলের। উক্ত দুই গ্রামের পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি জায়গা থাকলেও সেটা এখন বিভিন্ন মানুষের দখলে। অপরদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য সিলেমানপুর গ্রামের জামাত আলীর বাড়ি সংলগ্ন হয়ে মরহুম চেয়ারম্যান সরদার রোকনউদ্দিন এর বাড়ি অভিমুখ হয়ে সাধন বিশ্বাসের বাড়ি সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদে বর্তমানে পানি নিষ্কাসিত হয়ে আসছে। তবে কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী কিনু সরদার, পরিমল বিশ্বাসসহ কয়েকটি পরিবারের বসবাসরত ঘড়বাড়ি থাকায় পানি নিষ্কাশনের কাঁচা ড্রেনটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় চলতি বৃষ্টিতে ফসলির মাঠে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে ফসলের মাঠে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার বীজতলা পানিতে ডুবে গেছে। এদিকে পানি নিষ্কাশনের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক এস এম আজিমুদ্দিন এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের আর্থিক সহায়তায় স্বেচ্ছাশ্রমে ৪০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ বসিয়ে পানি সরানোর প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সময় তিনি বলেন, দুই গ্রামের মানুষদের ভোগান্তির অবসান ঘটবে যদি এখানে ৩’শ ফিট পাকা ড্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। তাই তিনি পাকা ড্রেনে নির্মাণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। স্থানীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাধন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিনের এই সমস্যার অবসান ঘটবে যদি এখানে একটি পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হয়। তাই তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, আপতত পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুকনো মৌসুম এলে পাকা ড্রেনের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে মাননীয় সংসদ সদস্যের নিকট এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে ৩’শ ফিট পাকা ট্রেন নির্মাণের।