আজ ৯ই আগস্ট শুক্রবার, সকাল থেকেই ভিড় জমতে থাকে আলিমুদ্দিন স্টীটে এর পার্টি অফিসের সামনে এবং চোখে পড়ে পুলিশ প্রশাসনের অফিসারদের তোর জোর, একে একে আসতে থাকেন বিভিন্ন দলের কর্মী থেকে শুরু করে নেতা ও মন্ত্রী।
ঠিক বেলা বারোটায় প্রাক্তন মন্ত্রী কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ আলিমুদ্দিন স্টীটের পার্টি অফিসে আনা হয়। এবং সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য দুপুর বারোটা থেকে বেলা তিনটে পর্যন্ত মরদেহ তাইতো রাখা হয় সায়িত রাখা হয়,সকলে যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারেন ও শেষ বিদায় জানাতে পারেন।
মরদেহ রাখার সাথে সাথে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় শেষ বিদায় জানানোর জন্য, কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন আবার কেউ মনে ব্যথা নিয়ে শেষ বিদায় জানান। যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা চেষ্টা করেছেন যাতে সকলের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
উপস্থিত ছিলেন কমরেড বিমান বসু, কমরেড সূর্যকান্ত মিশ্র, কমরেড মোহাম্মদ সেলিম, কমরেড সুজন চক্রবর্তী, কমরেড সৃজন চক্রবর্তী, কমরেড বিন্দা কারাত, কমরেড অসীম দাশগুপ্ত, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ,
শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, শিল্পী ঊষা উথুপ, অভিনেতা দেবদূত, বিধায়ক নৌওশাদ সিদ্দিক, অভিনেতা দেবদুলাল হালদার, সহ কংগেস ও অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দরা পুষ্পস্তবক দিয়ে শেষ বিদায় জানান।
অনেক আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন এন আর এস হসপিটালের সামনে ,যেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দেহ দান করা হবে। মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক অতীন ঘোষ, সাংসদ শান্তনু সেন, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছেলে ও পরিবারের লোকজন। এবং শেষ শ্রদ্ধা জানালেন এসএফআই এর ছাত্র-ছাত্রীরা সংগঠন।
ঠিক বিকেল তিনটায়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মরদেহ লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে এবং অর্ধনমিত পতাকার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এনআরএস মেডিকেল কলেজ হসপিটাল, যেই হসপিটালে তাহার দেহটি দান করা হয়েছে, অগণিত লক্ষ লক্ষ মানুষ ,মৃতদেহের সাথে সাথে কমরেড মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে লাল সেলাম জানিয়ে শেষ বিদায় জানালেন, সকলের কন্ঠে ভেসে উঠে একটি স্লোগান কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য অমর রহে, তোমাকে জানাই লাল সালাম। যিনি চিকিৎসার কাজে এবং মানুষের উপকারে তার চক্ষু ও দেহ দান করলেন।
ঠিক বিকেল পাঁচটায়, এন আর এস হসপিটালের মধ্যে তাহার দেহ পৌঁছায় এবং তার দেহটি ডঃদের হাতে তুলে দেন, চিরবিদায় এবং শেষ নিদ্রায়, চিরস্থায়ী হয়ে রইল তাহার মৃতদেহ।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা