বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
টানা পঞ্চম দিন ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকায় রয়েছেন আনসার ভিডিপি, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা। সড়কে নেই কোনো ট্রাফিক পুলিশ।
অদ্য শনিবার (১০ আগস্ট ২০২৪ইং) তারিখ বান্দরবানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় বান্দরবানের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বিভিন্ন ধর্ম্বালম্বীদের উপসানলয় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ আনসার, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ স্কাউটস, বান্দরবান জেলা রোভার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার ভলান্টিয়ার গ্রæপ বান্দরবান, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বান্দরবানের বাসস্টেশন এলাকায় বাংলাদেশ স্কাউটস, বান্দরবান জেলা রোভার এর জেলা সিনিয়র রোভার মেট/প্রতিনিধি (ডিএসআরএম) ও ফায়ার ভলেন্টিয়ার চীফ মোঃ ইসমাইল এর সাথে কথা বলে জানা যায়, বান্দরবান সদর এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও বিভিন্ন ধর্ম্বালম্বীদের উপাসনালয়ে নিরাপত্তায় বান্দরবান জেলা রোভার এর ২৬ জন ও ফায়ার ভলেন্টিয়ার গ্রæপ বান্দরবান এর ১৬জন সদস্য দুই শিফ্ট এ কাজ করছেন।
অন্যদিকে ট্রাফিক মোড় দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি ৬নং ওয়ার্ড দলনেতা আনোয়ার হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন- বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সম্মানিত জেলা কমান্ডেন্ট এর নির্দেশনায় ও সদর উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা লাকী বড়–য়া এর সার্বিক তত্ত¡াবধানে বান্দরবানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আনসার ভিডিপি মোতায়েন রয়েছে।
চৌধুরী মার্কেট এলাকার তিন চৌ রাস্তার মাথায় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্রপরিষদ এর জেলা সিনিয়র সভাপতি জমির উদ্দিন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন-পিসিসিপির ২০ জন সদস্য বান্দরবানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও বিভিন্ন উপসানলয়ে নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি বান্দরবান বাজার ব্যবসায়ীদের পিসিসিপির পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনুরোধ জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরাও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন ধর্মীয় উপসানলয় নিরাপত্তার দায়িত্বে কাজ করে যাচ্ছেন।
রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি সবাই ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও যাত্রীবাহি বিভিন্ন গণপরিবহন (রিক্সা, অটোরিক্সা) নির্দিষ্ট স্থানে থামার নির্দেশ দিচ্ছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তারা মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন।