ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ী ইউনিয়নের খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের
সিনিয়র ইংরেজি শিক্ষক জনাব নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া সাহেবের বিরুদ্ধে বিএনপি করার অপরাধে মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মানববন্ধন হয়েছে।
জানা যায়, বিদ্যালয়ের আওয়ামী প্রধান শিক্ষক জনাব সফিকুল আলম ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম ও তার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সৈকতের প্রত্যক্ষ মদদে কিছু সংখ্যক ছাত্রীদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে।ভিডিওতে দেখা যায় ছাত্রী নেতৃত্ব দেওয়া তৈয়বা খানম নূরের পিতা বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল্লাহ। খায়রুল ইসলাম বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকাকালীন প্রধান শিক্ষক হিসেবে সফিকুল আলম কে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তার ছেলেকে কাউকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষককের মাধ্যমে এই বিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী হিসেবে ছাত্রলীগ নেতা সৈকত কে নিয়োগ দেন।আওয়ামীলীগের ক্ষমতা সময় খায়রুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলমের নামে ঈশ্বরগঞ্জ ইউএনও অফিসে এসিস্ট্যান্ট হেড মাষ্টার নিয়োগে একটি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
শিক্ষক সফিকুল আলমের বিভিন্ন দুর্নীতি খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি খায়রুল ইসলামের অসংখ্য অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও অসামাজিক কার্যকালাপের প্রতিবাদ করায় শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া সাহেবকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাময়িক বহিস্কার করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ,গত ২১ জুলাই খালবলা বাজারের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুল ইসলাম শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়াকে ছাত্র আন্দোলনের উসকানি দাতা অভিযোগ করে ছাত্রলীগের ছেলেদের কাছে তুলে দিতে চেয়েছিলো পরে এই শিক্ষক বাসা থেকে পালিয়ে যান।
শিক্ষক নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া জানান,বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বিএনপি করার অপরাধে বার বার জেলে যেতে হয়েছে। আমার বাসা বাড়ীতে বারবার হামলা করা হয়েছে তা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দুর্নীতি মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া আওয়ামী প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুলের ছেলে সৈকতের প্ররোচনায় কোমলতি ছাত্রীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ঘৃন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই ও আমার বিরুদ্ধে একতরফা বহিস্কারের আদেশ প্রত্যাহারের দাবী জানাই।
বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিরামনি জানান আমাদের নূর মোহাম্মদ স্যার খুবেই ভালো মানুষ।যারা স্যারের বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেছে সব মিথ্যা অভিযোগ তা নাটক। স্যারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই মানববন্ধনে আওয়ামীলীগপন্থি ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেছে।
এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল আলমকে ফোন করলে নাম্বারটি বন্ধ দেখায়।
এলাকাবাসীর মতে খালবলা বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি এখনো আওয়ামীলীগের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।