আল-আমিন স্টাফ রিপোর্টারঃ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বিএনপি কর্মীর কাঠ বাগান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আনার উল্লাহ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
আনার উল্লাহ উপজেলার কাংশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান । ঘটনাটি ঘটে ২৬ আগষ্ট সোমবার উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁকাকুড়া গ্রামে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের যুবদল নেতা বাচ্চু মিয়া তার পৈত্রিক ৫ একর সম্পত্তি দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছিল।
বাচ্চু মিয়া জানান,গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনার উল্লাহ ক্ষমতার দাপটে জালজালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত জমি দখল করে নেন।
পরে আনার উল্লাহ উক্ত জমিতে গাছের চারা রোপন করলে বাচ্চু মিয়া চারাগুলো উপরেফেলে নিজেই চারা রোপন করে। ইতিমধ্যেই কাঠবাগানটি কাটার উপযোগী হয়েছে।
বাচ্চু মিয়ার অভিযোগ গত সোমবার আনার উল্লাহ তার লোকজন নিয়ে জোরপুর্বক কাঠবাগানের প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের গাছ কেটে নিয়ে যায়।
বাচ্চু মিয়া বাধা দিতে গেলে তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এ ভয়ে তিনি প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না তিনি। আনার উল্লাহ উক্ত জমিতে পুনরায় গাছের চারা রোপনের পায়তারা করে আসছেন।
এবিষয়ে আনার উল্লাহ বলেন আমি কোন প্রতারনা করিনি। কাঠবাগান তিনি নিজে রোপণ করেন বলে জানান।
তিনি বাচ্চু মিয়ার দাদা আরও আর রেকর্ডের মালিক মহসিনের কাছ থেকে জমিটি কিনে নিয়েছেন বলে জানান তিনি । উক্ত জমি বিআরএস রেকর্ড মালিকের নামে না হওয়ায় তিনি আদালতে একটি মামলাও করেছেন ।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, জমির প্রকৃত মালিক বাচ্চু মিয়া। তিনি জমিভোগদখলে ছিলো। তবে জমিটা বিক্রি হয়েছে কি না তা তার জানা নেই।
এব্যাপারে বাচ্চু মিয়া বলেন, তার দাদা বাবা তার পরিবারের কেউ কোন জমি বিক্রি করেনি। তিনি বলেন আনার উল্লাহ প্রতারনার মাধ্যমে জালজালিয়াতি করে তার জমি দখল করে নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।
তিনি তার জমি উদ্ধারের বিষয়ে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ফল হয়নি বলে জানান। তিনি বলেন আর্থিক সংকটের কারণে মামলা মোকদ্দমায় যেতে পারছেন না বলে জানান তিনি।