আজ ২৮শে আগস্ট বুধবার, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র পরিষদের আহবানে, গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে, ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ করলেন। ঠিক দুপুর বারোটায়।
একদিকে যখন নবান্ন অভিযান কে কেন্দ্র করে পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে যখন বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছেন, কিছু জেলায় যখন বন্ধের আকার ধারণ করেছে।
অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে, বিভিন্ন জেলার কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে ধর্মতলা ডরিনা ক্রসিং হয়ে, তারা মঞ্চের সামনে পৌঁছান। যদিও বন্ধের কারণে ট্রেন বন্ধ থাকায় ও বাস চলাচল কমে যাওয়া, সরকারি বাসে করে ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত হন এই সমাবেশে। তবে বহু জেলা থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারেননি, কারণ জেলায় জেলায় বনধ সফল হওয়ায় ও রাস্তাঘাট বনধ হয়ে যাওয়ায়, বাস না চলাচল করায় ছাত্র-ছাত্রীরা এসে পৌঁছাতে পারেননি।
তবে অন্য বছরের তুলনায় এই বছর অনেকটাই ছাত্রছাত্রী কম চোখে পড়ে, বাংলা বন্ধের ফলে, কলকাতা, বারাসত ,কল্যাণী, ক্যানিং, আলিপুরদুয়ার, নদিয়া বনগাঁ, পূর্ব বর্ধমান প্রভৃতি জেলার কলেজ থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসতে পারলও পুরোপুরিভাবে আসতে পারেননি মেদিনীপুর সহ অন্যান্য জেলা থেকে।
তবে ছাত্র পরিষদের তরফ থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রাস্তার মাঝে মাঝে প্রচন্ড গরমের ফলে জলের ব্যবস্থা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখেন আমরা দেখতে পাই, বেশ কয়েকজন আহত হয়ে এই চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে।
তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মূল উদ্দেশ্য , শিক্ষার প্রগতি, সঙ্ঘবদ্ধ জীবন ও দেশপ্রেম, এই তিনটি ছাত্রদের মূল মন্ত্র। এইগুলো না থাকলে একজন ছাত্র ও ছাত্রী শিক্ষা সম্পূর্ণ হবে না,
আজ একদিকে যেমন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস, অন্যদিকে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ এই দুইকে কেন্দ্র করে ,একদিকে যেমন প্রশাসন-হিম খাচ্ছেন, অন্যদিকে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন যাতে কোনরকম গন্ডগোলের সৃষ্টি না হয়, এবং সতর্ক দৃষ্টিতে নজর রাখেন। মঞ্চে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করেন। এবং বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন,
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা