মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোর জেলা প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার(৩৫)এর বিরুদ্ধে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা স্ত্রীর যৌতুক মামলায় জামিন নিতে আদালতে হাজির হলে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে নাটোরে জেলা কারাগারে প্রেরন করেন উক্ত আদালতের বিচারক ও জেলা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।
বৃহস্পতিবার(২৯শে আগষ্ট-২৪)বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী ও নাটোর জেলা জজ আদালতের এপিপি এ্যাডভোকেট আলেক উদ্দিন শেখ সংবাদ কর্মীদের মাঝে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়,হাল সাং নাটোর উপর বাজারের রতন সাহার মেয়ে জয়া সাহা ও কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার(৩৫)এর গত ৮ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বিবাহের সময় জয়া সাহর পরিবারের নিকট হতে নগদ ২৫,০০,০০০(পচিশ লক্ষ) টাকা,২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘর সাজানোর আসবাব পত্র সহ প্রায় আরও ৪ লক্ষ টাকার ঘড় সাজানোর উপকরন যৌতুক বাবদ নেন। উক্ত দম্পতির কোলে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহন করে।
কিন্তু অধ্যাপক সঞ্জয় সরকার অতি লোভি প্রকৃতির হওয়ায় তার স্ত্রীকে আরও যৌতুক বাবদ ১০, ০০,০০০/(দশ লক্ষ) টাকা তার পরিবার থেকে এনে দেয়ার চাপ দিতে থাকে এবং তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। কিন্তু জয়া সাহা তা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, তাদের ৪ বছরের নাবালক পুত্রসহ তার স্ত্রীকে বেধড়ক প্রহার করিতে থাকে,এক পর্যায়ে গত ২৪-০৬-২০২৩ইং জয়া সাহা ও সন্তান কে এক কাপড়ে তার পিতার বাড়ি নাটোরে রেখে যায়, জয়া সাহা তার সন্তানকে নিয়ে তার পিতার বাড়িতে মানবতের জীবন যাপন করতে থাকে,এবং সঞ্জয় কুমার নগদ ১০ লক্ষ টাকা না দিলে সংসার করতে নারাজ প্রকাশ করলে,জয়া সাহা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নাাটোর জেলা জজ আদালত নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ২৯শে আগস্ট- ২০২৪ সঞ্জয় কুমার জামিন নিতে আসলে বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট আলেখ উদ্দিন শেখ আসামির পক্ষে বিরোধিতা করে জামিন না মঞ্জুর করার আবেদন করে।পরে সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামী সঞ্জয় কুমারের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে মাননীয় আদালত তাকে কারাগারে প্রেরন করেন।