আজ ১৬ই সেপ্টেম্বর সোমবার।, ঠিক দুপুর একটায়, কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে থেকে তিলোত্তমার দোষীদের বিচারের দাবিতে, মিছিল করে শ্যামবাজার পর্যন্ত প্রতিবাদ জানালেন এবং কলেজ স্কোয়ারে মানববন্ধন ও একটি পথনাটিকা করলেন।
বিভিন্ন স্কুল থেকে আগত শিক্ষক-শিক্ষিকারা কলেজ স্কোয়ার বিদ্যাসাগর মূর্তির সামনে জমায়েত হন, এবং প্রত্যেকে বিচারের দাবি নিয়ে পোস্টার সহ হাতে হাত মিলিয়ে মানববন্ধন করলেন, এরপর একটি পথনাটক মঞ্চস্থ করলেন, যেভাবে তিলোত্তমাকে খুন ধর্ষণ করা হয়েছে, খুনের পর কিভাবে পরিকল্পিত করে দেহকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল, অপবাদ দেওয়া হয়েছিল, পোস্টমর্টেম করা হয়েছিল,এমনকি তার মা বাবাকে মিথ্যা কথা বলা হয়েছিল, সমস্ত কিছুকে আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছিল, সকলকে তুলে ধরেই এই পথনাটিকা, শুধু তাই নয় স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিদ্রোহের গান ও নৃত্য পরিবেশন করে দেখালেন,
এই প্রতিবাদ ও পথনাটিকা দেখার জন্য পথ চলতি মানুষ কিছুক্ষণের জন্য থমকে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন , এবং তাদের মুখেও শোনা যায় উই ওয়ান্ট জাস্টিস, তিলোত্তমার দোষীদের বিচার চাই।
প্রতিবাদী মিছিল সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার উপস্থিতিতে কলেজ স্কোয়ার থেকে আস্তে আস্তে শ্যামবাজারের দিকে এগিয়ে যায় এবং শ্যামবাজার পাঁচ মাথার কিছুটা আগে পুলিশ ব্যারিকেট করে আটকে দিলে, সেখানে তারা প্রতিবাদ জানান।
সারা রাস্তায় তাদের একটাই স্লোগান, জাস্টিস ফর আর জি কর, তার বোনের বিচার চাই, তাদের মেয়ের বিচার চাই, যতদিন না দোষীরা শাস্তি পাবে, এই আন্দোলন সারাবিশ্বে চলতে থাকবে, আমরাও থেমে থাকব না।
কারন আমরাই জাতির মেরুদন্ড, আমরাই ছেলে মেয়েদের গোড়ার কারিগর, আমরাই ছোট থেকে গড়ে তুলি ছেলেমেয়েদের এগিয়ে চলার পথ। তাই আমাদের এই প্রতিবাদ, দোষীদের আড়াল নয়, বিচার চাই। তিলোত্তমার মা-বাবার চোখের জলের বিচার চাই,
মিছিল যত শ্যামবাজারের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে, পাশ থেকে পথ চলতি মানুষের মুখেও শুনতে পাওয়া যায়ওই ওয়ান জাস্টিস , তেমনি স্কুল ফেরত ছাত্র-ছাত্রীদের মুখেও একই কথা শোনা যেতে দেখা যায়।
রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা