1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
নওগাঁর নিয়ামতপুর বালাহৈর গ্রামের বিকলঙ্গ সুলতানা ইয়াসমিন ভিক্ষা করে সংসার চালায় - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গফরগাঁওয়ে কৃষকদলের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত আশাশুনির কালকী স্লুইস গেট সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে মুহাদ্দিস রবিউল বাশার দৈনিক নতুন ভোর প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত শীতার্ত মানুষের মাঝে বিএনপির শীতবস্ত্র বিতরণ নওগাঁয় অসকস বাংলাদেশের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ সম্পন্ন কালিগঞ্জের মৌতলা কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে সরিষাবাড়ীতে ৪’ শতাধিক হতদরিদ্র পেল শীতবস্ত্র কম্বল জামালপুরে ৯ম জাতীয় হাঁটা দিবস পালিত  শেরপুরে বোনকে হত্যার অভিযোগে ভাই গ্রেফতার

নওগাঁর নিয়ামতপুর বালাহৈর গ্রামের বিকলঙ্গ সুলতানা ইয়াসমিন ভিক্ষা করে সংসার চালায়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালাহৈর গ্রামে সুলতানা ইয়াসমিন(৪৫) ভিক্ষা করে চলে সংসার, যাত্রীছাউনিতে থাকেন মা-মেয়ে। একসময় ছিল সোনার সংসার। স্বামী ও এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল সুলতানা ইয়াসমিন দম্পতির। হঠাৎ অজানা রোগে সুলতানা ইয়াসমিন শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েন। ছাড়তে হয় স্বামীর সুখের সংসার। সুলতানা ইয়াসমিন বিকলাঙ্গ হওয়ায় সৎমা তাদের বাড়িতে জায়গা দেয়নি। এরপর থেকেই নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। বাধ্য হয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকছেন তারা। মা ও মেয়ে রাস্তাঘাটে, হাটবাজারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল টাকাপয়সা তুলে সংসার চালান। সুলতানা ইয়াসমিনের (৪৫) বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বালাহৈর গ্রামে। তার মেয়ে তানজিলা খাতুন (১৬) বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সুলতানা ইয়াসমিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার সোনাইচন্ডী গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে এবং উপজেলা বালাহৈর গ্রামের তাইজুল ইসলামের স্ত্রী।শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নিয়ামতপুর সদর বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনিতে গিয়ে প্রতিবন্ধী মা ও মেয়ের দেখা মেলে। যাত্রীছাউনিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে জামাকাপড়। সেখানেই এখন তাদের বসতঘর। অসহ্য ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন মা। নেই ওষুধ কেনার টাকা। চাল না থাকায় রান্না হয়নি সকালে। ১৬ বছর বয়সী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে তানজিলা খাতুন বেরিয়েছেন ভিক্ষা করতে। দুপুরে ফিরলে তবেই খাওয়া হবে।
তানজিলা খাতুন কালবেলাকে বলেন, আমাদের একটা থাকার ঘর নেই। মাকে নিয়ে খুব কষ্টে থাকি। সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি যদি আমাদের একটি ঘর দিতেন তাহলে আমাদের আর এভাবে রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট হতো না। সুলতানা ইয়াসমিন কালবেলাকে বলেন, স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে আমারও একটা সুখের সংসার ছিল। তিন বছর আগে হঠাৎ শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়লে স্বামী তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে উঠতে দেয়নি সৎমা। কিছু ব্যক্তির সহযোগিতায় নিয়ামতপুর উপজেলা হাসপাতাল চত্বরে ছিলাম। এরপর সেখানেও থাকার জায়গা না পেয়ে মাস তিনেক ধরে মেয়েকে নিয়ে যাত্রীছাউনিতে থাকছি।
তিনি বলেন, মেয়েটা সারাদিন বিভিন্ন জনের কাছে গিয়ে হাত পাতে। যেটুকু চাল টাকাপয়সা পায় সেটুকু নিয়ে এক বেলা দুমুঠো ভাত মুখে উঠে। আমার মেয়েটাও বড় হচ্ছে। মেয়েটার জন্য একটা থাকার ঘরের প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী সুলতানা ইয়াসমিনের চিকিৎসা বা সংসার চালানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তার প্রতিবেশীরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি