আজ ১০ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার, প্রত্যন্ত গ্রামে , আদর্শ নগর এলাকার অধিবাসী বৃন্দদের নিয়েই এই পুজো গড়ে ওঠে, দেখতে দেখতে ২৪ তম বর্ষে পদার্পণ করল আদর্শ নগর বন্ধু মিলন সংঘ। এবং ষষ্ঠীর দিন থেকে গ্রাম বাংলার ছোট ছোট শিশু থেকে শুরু করে এলাকার মহিলাদের উৎসাহিত করার জন্য, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন, এবং একসাথে বসে মায়ের ভোগ খাওয়ার একটা রীতি চলে আসছে। গ্রামবাসীদের একত্রিত করার জন্য এই উদ্যোগ।
থিমের চাকচিক্য না থাকলে, রয়েছে পুজোর নিষ্ঠা, এবং এলাকাবাসীদের উৎসাহিত করা, তাই ষষ্ঠীর দিনে তারা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে, একটি অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন, প্রায় দেড়শোর বেশি, ৩ থেকে ১৬ বছর বয়সী, স্কুল পড়ুয়া ছোট ছোট ছেলে মেয়ে এই অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী শম্ভু দাস এবং তাহার শিষ্য রোহিত দোলুই, বিচারকের বিচারে প্রত্যেক গ্রুপ থেকে তিনজন করে বেছে নেবেন, এবং তাদের পুরস্কৃত করা হবে, তাই চারটি গ্রুপে ভাগ করে নিয়েছিলেন। তার সাথে সাথে চোখে পড়ে, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের উৎসাহ দিতে তার মা-বাবা, দিদিরা সকাল থেকে বসেছিলেন মন্ডপে।
সংক্ষিপ্তভাবে সাংবাদিকদের জানালেন, আমাদের পুজো করার উদ্দেশ্য, গ্রামের ছেলে মেয়ে ও পরিবারেরা, বেশিরভাগ শহরে যেতে পারেনা, বড় বড় পুজো দেখতে বিভিন্ন কারণে, আর এই সকল প্রত্যন্ত গ্রামে পুজো খুব কম হয়, কারণ আর্থিক অবস্থাও ভালো নয় কারো, তাই আমরা সবার সহযোগিতায় এই পুজোটা চালিয়ে যাচ্ছি, পুজো করার চেষ্টা করছি, যাতে এই কটা দিন, গ্রামের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা আনন্দ করতে পারে।
উপস্থিত ছিলেন, রাজপুর.. সোনারপুর পৌরসভার, চার নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা বিভাস মুখার্জি, ক্লাবের সভাপতি সাধন দাস, সম্পাদক ডক্টর নয়ন মন্ডল, চিত্রশিল্পী শম্ভু দাস, রোহিত দোলুই সহ উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সকল সদস্য এবং মহিলা সদস্যরা।
রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার পৌরপিতা, বিভাস মুখার্জি জানালেন, আমি কুর্নিশ জানাই আবে সদস্যদের এবং এলাকার অধিবাসীবৃন্দদের, এইভাবে সকলকে একত্রিত করার জন্য, তাই আমি রাজপুর সোনারপুর পৌরসভার তরফ থেকে শারদ সম্মান তুলে দিলাম। স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী শম্ভু দাস জানালেন, আমি যদি না আসতাম, জানতেই পারতাম না , এত সুন্দর আয়োজন করে থাকেন, আমি খুশি, এইভাবে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত করার জন্য। সকল সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা,