জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর:
শরীয়তপুর পৌরসভায় সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ এই শিরোনামে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। শরীয়তপুর পৌরসভায় নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ কাজে অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে পৌর কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে সঙ্গেই ওই সড়কে টেন্ডারে উল্লেখিত ভালো মানের পাথর ও রড ব্যবহার করেন বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন ও স্থানীয়রা।
শরীয়তপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ অফিস থেকে আব্দুল হাই সিকদারের বাড়ি পর্যন্ত ৯২৫ মিটার সড়কের কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হামিম ইন্টারন্যাশনাল এন্ড শেখ এন্টারপ্রাইজ (জেভি)। তবে কাজটি করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ উজ্জামান রাশেদ। তবে সম্প্রতি গণমাধ্যমে শরীয়তপুরে সড়ক নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে শরীয়তপুর পৌরসভার প্রশাসক পিংকি সাহার নির্দেশে পুনরায় ওই সড়কের কাজ পরিদর্শন ও মান যাচাই করে টেন্ডারে থাকা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। নিয়মানুযায়ী ভালো মানের পাথর, সঠিক পরিমাণে সিমেন্ট, বালু ও পাথর মিক্সার করে ঢালাই ও সঠিক নিয়মে রড ব্যবহার করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলেন, সাংবাদিকরা অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করার পরপরই পৌর কর্তৃপক্ষ তথা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী প্রকৌশলী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছেন। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পৌর কৃর্তপক্ষ এমন কঠোর থাকলে আর কেউ কোনো অনিয়ম করতে পারবে না এবং আমরা সঠিক সেবা পাবো বলে বিশ্বাস করি।
শরীয়তপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ওই সাইটের দায়িত্বপ্রাপ্ত মামুন গাজী বলেন, আমাকে একাধিক কাজের সাইটে যেতে হয়, এর ফাঁকে হয়তো অনিয়ম করেছিল। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পৌরসভার প্রশাসকের নির্দেশে ও নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে ওই কাজ পরিদর্শন করে ঠিকাদারের মাধ্যমেই টেন্ডারে যেভাবে আছে সেইভাবে কাজ করিয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনো কাজ কোনো ঠিকাদার না করে যেজন্য কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, আপনাদের বস্তু নিষ্ঠ সংবাদের কারণেই আমরা আরও সঠিকভাবে কাজ করাতে পেরেছি। সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিতে আসার পরপরই শরীয়তপুর পৌরসভার প্রশাসক পিংকি সাহার নির্দেশে পুনরায় ওই সড়কের কাজ পরিদর্শন ও মান যাচাই করে টেন্ডারে থাকা সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। নিয়মানুযায়ী ভালো মানের পাথর, সঠিক পরিমাণে সিমেন্ট, বালু ও পাথর মিক্সার করে ঢালাই ও সঠিক নিয়মে রড ব্যবহার করা হয়।