মোঃ আব্দুল গফুর শিকদার ভোলা জেলা প্রতিনিধ
করেছেন এখনো শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রতিনিধিরা। শেখ হাসিনা সরকারের স্বৈরাচারীর যুগ থেকে প্রকৃত জেলেদের বাদ দিয়ে পছন্দের রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে চাল। এতে ক্ষুব্ধ জেলেদের কারণে ভেস্তে যেতে পারে মা ইলিশ রক্ষার পরিকল্পনা। অন্যদিকে আওয়ামীলীগ পন্ত্রী ইউপি সদস্যদের ভয়ে এখনো তটস্থ জেলেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।জেলেরা প্রতিবাদ করতে চাইলে তাদেরকে আইনের হুমকি দেখিয়ে থাকেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত (২২) দিন নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এসময় মাছ ধরায় নিরুৎসাহী করতে সরকার উপজেলার ১০ হাজার ৬২৯ জেলের মধ্যে চাল বিতরণের জন্য ২৫ কেজি করে ২৬৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়।
আরও পড়ুন।
অভিযানের ট্রলার চালকের নেতৃত্বে ধরা হয় ইলিশ!
গত ২০ থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত হাজীরহাট ইউনিয়ন এ চাল বিতরণে অনিয়মের আশ্রয় নেওয়া হয়। ওই ৩/৪ বছরে উল্লেখযোগ্য একটি সংখ্যার জেলে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা, ব্যবসায়ী, রিকশাচালক ও ইলেক্ট্রিশিয়ানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। কেউ কেউ চালের জন্য নির্ধারিত স্লিপ বিক্রির অভিযোগ তোলেন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। জেলেরা নিবন্ধিত জেলের সংশোধন দাবি করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ২০ জেলে বলেন, আমরা প্রকৃত জেলে। আমরা চাল পাই না। চাল পায় আওয়ামী নেতারা। হাজীরহাট ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড এর ১৫ জেলে বলেন, আমরা চালের স্লিপ পাইনি। আমাদের বাদ দিয়ে অন্য লোকদের দেওয়া হয়েছে। স্লিপ চাইলে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৃজন সরকার বলেন, ভুয়া জেলে থাকলে জেলে নিবন্ধন কমিটির মাধ্যমে তা বাদ দেওয়া হবে।
সদ্য যোগদান করা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাঠান মো: সাইদুজ্জামান দৈনিক দেশ বুলেটিন কে জানান, আমি নতুন এসেছি। বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব। তালিকা সংশোধনের সুযোগ থাকলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে।