মোঃ মাহাবুব আলম রিপোর্টার
ক্যামব্রিয়ান এডুকোন গ্রুপ এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক (প্লট-২২, ৩য় তলা, সার্কেল- ২, ০শশান, ঢাকা-১২১২, মনে বাংলাদেশ) বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা গ্রহণ করে এবং কলেজে সেশন ফি বাবদ যে টাকাগুলো দেওয়া হয় তা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে উক্ত কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটি না করে মানি লন্ডারিং আইন বহির্ভূত কাজ করে। সেই টাকাগুলো আমাদের থেকে নিয়ে যে আত্মসাৎ
মূলত সেই কলেজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা গুল্যে স্টুডেন্ট একাউন্ট করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু
সেটি সে করেনি এবং বিদেশী কলেজ গুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে টাকা না পাঠিয়ে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। এরকম ভূক্তভোগীর সংখ্যা শহস্রাধিক ও প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমান গড়ে ২০ লক্ষ টাকা। তাঁদের দেওয়া নিস্টট অনুযায়ী ৮৫০+ শিক্ষার্থী। আমাদের ধারনা ২০০০+ শিক্ষার্থীর মোট টাকা ৫শ কোটি টাকা সে আত্বসাৎ করেছে। বিগত সরকারের আমলে উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ফেরত চাইলে টালবাহানা করে সময়ক্ষেপণ করে। যার ফলশ্রুতিতে অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্ত হয়, এবং উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় এবং আর্থিকভাবে প্রতিটি পরিবার অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে অনেক দেন- দরবার করার পর পাওনা টাকার বিপরীতে বিএসবি কর্তৃপক্ষ অনেক পাওনাদারকে বি এস বি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর
চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার বাহার স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করে
যা ব্যাংক কর্তৃক প্রত্যাখাতহয়।
টাকা উদ্ধারের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলে এবং পরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে বিএসবির চেয়্যারম্যান খাইরুল বাশারের গুন্ডাবাহিনী আক্রমন চালায়। এছাড়া পাওনাদারদের ক্রমাগত টাকা না দেবার হুমকি দিয়ে আসছে।
সর্বশেষ গত ২৭-৮-২০২৪ ইং তারিখে বিএসবির চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের এক প্রতিনিধি দলের সাথে এই মর্মে ইাম্প গেপরে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যে, সমুদয় পাওনা টাকা ৩ কিস্তিতে যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বর ২০১৪ ইং ভারিখে সকলকে পরিশোধ করবে। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয় ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় ও সেখানে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। যা গুলশান থানা প্রশাসন অবগত আছেন।
এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে টাকা উদ্ধার ও নিরাপত্তার জন্য অনেকে জিডি, প্রতারণা ও চেক জালিয়াতির মামলা দায়ের করেছে
এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা-আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। বর্তমানে বি এস বি
গ্রোবল নেটওয়ার্ক এর কার্যক্রম আনুমানিক ৩৫-৪০ দিন ধরে বন্ধ করে রেখেছে ও অদ্যাবধি বন্ধ আছে এবং সকল মোবাইল নং বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ করছে না। এবং চেয়ারম্যান মোঃ খাইলা বাশার অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপনে রয়েছে।
প্রিয় সংবাদিকবৃন্দ, এমতবস্থায় নিরুপায় হয়ে আপনাদের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার ছাত্র- ছাত্রীর শিক্ষাজীবন বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা ও ভবিষ্যাতে যেন কোন শিক্ষার্থী প্রতারিত না হয়, সেজন্য আত্মসাৎকৃত অর্থ উদ্ধার, সেইসাথে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বিপনি গ্রোয়াল নেটওয়ার্ক এবং ক্যামব্রিয়ান এডুকেসন গ্রুপ এর চেয়ারম্যান মোঃ খাইরুল বাশার ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন তথা সরকারের কাছে আকুল চর আবেদন জানাচ্ছি। দিনীম নিবেদন, দিগেছি দোহল বৌওয়ার্ক
কর্তৃক প্রভাবিত ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীবৃন্দের পক্ষে