পাথরঘাটা (বরগুনা) : বরগুনার পাথরঘাটায় উপকূল দিবস পালিত হয়েছে। পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় একটি শোভা যাত্রা পৌর শহরের গোল চত্বর থেকে শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। পরে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্তমঞ্চে ৭০এর প্রাণহানিদের রুহের মাগফিরাতে দোয়া মোনাজাত করা হয। এর আগে মুক্ত মঞ্চে অবস্থিত সিডরে নিহত এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সাগরে নিখোঁজ জেলেদের স্মরনে স্মৃতি ফলকের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টুর সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় বরগুনার পাথরঘাটায় এ দিবসটি আয়োজন করেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন।
বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মির্জা শহীদুল ইসলাম খালেদ, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ ফারুক, মেহেদী শিকদার প্রমুখ। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন।
বক্তারা ৭০ সনের বন্যার স্মৃতিচারণ করেন এবং এ দিনটি উপকূল দিবস হিসেবে স্মৃতির দাবি করেন। এছাড়াও পাথরঘাটাসহ উপকূলে জেলেদের নিরাপত্তা, পুনর্বাসন, নিখোঁজ জেলেদের আইনগত স্বীকৃতি দেয়ারও দাবি জানানো হয়।
১৯৭০ সালরে ১২নভম্বের তৎকালীন র্পূব পাকস্তিানরে (র্বতমান বাংলাদশে-এর) দণিাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত রেকের্ডকৃত ঘূর্নিঝড় সমূহরে মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্নিঝড় এবং এটি সর্বকালরে সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতকি দূর্যোগের একটি। এ ঝড়ের কারণে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্নিঝড় মৌসুমরে ৬ষ্ঠ ঘূর্নিঝড় এবং মৌসুমরে সবচেয়ে শক্তশিালী ঘূর্নিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি ৩’ মাত্রার র্ঘূণঝিড় ছিল।