ঝালকাঠিতে প্রেমিকার আনা নুডুলস খাওয়ার পর প্রেমিকের রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।ঝালকাঠি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির মৃত কলেজছাত্রের নাম সজল দেবনাথ (১৯)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজলের মৃত্যু হয়। সজল ঝালকাঠি সদরের জেলেপাড়া এলাকার বাসিন্দা সনাতন দেবনাথের ছোট ছেলে।
সজলের পরিবার জানায়, রবিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পূজার উৎসবে অংশ নিয়ে সজল বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আওয়াজ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তার কক্ষে গিয়ে দেখেন, সজলের পা বাঁধা অবস্থায় এবং তার কথিত প্রেমিকা তিথিকে লুকানো অবস্থায় খাটের নিচে পাওয়া যায়। অসুস্থ সজলকে দ্রুত তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকদের চেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এটিএম মেহেদী হাসান সামি জানান, গভীর রাতে হাসপাতালে আনার পর দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা করা হলেও সজলকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণ করা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান।
সজলের বড় বোন অভিযোগ করেন, তিথি তার বাসা থেকে সজলের জন্য নুডুলস নিয়ে আসেন, যা খাওয়ার পরই সজলের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরিবারের ধারণা, নুডুলসে কোনো বিষাক্ত পদার্থ থাকতে পারে, যা সজলের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
প্রেমিকা তিথি জানান, তাদের দু’বছরের সম্পর্ক রয়েছে এবং জগদ্ধাত্রী পূজার দিন তারা কিছুক্ষণ সময় কাটান। তবে সজলের আচরণ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে তর্ক হয় এবং তিথি অভিযোগ করেন, সজল তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। ঘটনার দিন রাতে সজলের সঙ্গে কাটালেও তিনি ঘটনাটি আড়াল করেন।
এদিকে, ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু করেছে।
ক্যাপশন : সজল দেবনাথ
সামীর আল মাহমুদ
ঝালকাঠি।