আজ ১৪ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার, সকাল থেকেই শুরু হয়েছে সারা বিশ্বে দুটি দিবস পালিত। একদিকে প্রাক্তন ও প্রথম প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর জন্ম দিবস এবং অন্যদিকে পালিত হচ্ছে সারা দেশে স্কুলে স্কুলে, ও বিভিন্ন সমাজসেবী সংস্থায় শিশু দিবস,
আজ পার্কস্ট্রীট ক্রসিং এর সামনে জহরলাল নেহেরুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধার্গ জানান দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে, এবং কয়েকটি সময় সেবি সংস্কার তরফ থেকে।
একইভাবে বিভিন্ন স্কুলে পালিত হলো শিশু দিবস বিভিন্ন অনুষ্ঠান, কোন কোন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে বিভিন্ন দর্শন নিয়ে স্থানে ঘুরাতে নিয়ে আসেন, কোন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে চিড়িয়াখানা ভ্রমণ, কোন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জাদুঘর দেখাতে নিয়ে আসতে দেখা যায়, আজ জ্ঞান বিদ্যাপীঠের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষিকারা জাদুঘর ভ্রমণ করালেন, আবার পানাগড় সেন্ট জুডস স্কুলের প্রায় এক থেকে দেড়শো ক্লাসের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের নিয়ে পানাগর রথতলার সংযোগস্থলে একটি হলে সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, ছোট্ট ছোট্ট মেয়েরা কবিতা পাঠ, নাচ গান থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তাহাদের মধ্যে ক্লাস তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া সৃজিতা ঘোষ একটি সুন্দর কবিতা পাঠ করে সকলকে মুগ্ধ করেছেন। সাথে সাথে সকল শিক্ষক শিক্ষিকারা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উৎসাহিত করলেন, সবার উদ্দেশ্যে ও একটাই বার্তা ছিলো, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ এবং তার বাবা মায়েদের সহযোগিতা অবশ্যই প্রয়োজন।, তবেই ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এগিয়ে যেতে পারবে এবং মনোবল গড়তে পারবে। সবকিছুতে মনোযোগ বাড়বে।
একইভাবে আজ শিশু দিবসে, দক্ষিণ হাওড়া মুক্তধারা সংস্থা ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে ধর্মতলার ট্রাম ডিপো থেকে শ্যামবাজার ট্রাম ডিপো পর্যন্ত পরিক্রমা করলেন এবং কেক কেটে শিশু দিবস পালন ও শিশুদের হাতে খেলনা সামগ্রী তুলে দেন । প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন দুস্থ পরিবারের শিশুদের নিয়ে এই ট্রামযাত্রা।
উপস্থিত ছিলেন মুক্তধারার উদ্যোক্তা জয়দীপ দে, আত্রেয়ী দে, ক্লাবের মনু ভাই দেওয়ান, এবং উপস্থিত ছিলেন দেবযানী ঘোষ।
সংবাদ মাধ্যমকে একটা কথাই বললেন, ট্রাম যাত্রার মূল উদ্দেশ্য, কলকাতার ঐতিহ্যশালী ট্রাম জাতে না উঠে, এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলায় আমাদের লক্ষ্য। তাই আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান ট্রাম যাত্রার মধ্য দিয়ে করে থাকি, কখনো বালিগঞ্জ থেকে ধর্মতলা, কখনো টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ, কখনো বালিগঞ্জ থেকে শ্যামবাজার,
রিপোর্টার, সমরেশ রায় সম্পা দাস . ভারত