স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম থেকে :
আজ ১৫ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টায় চট্টগ্রামের অন্যতম বৃহত্তম ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড ‘ওয়ান্ডারল্যান্ড’ চালুর মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে চট্টগ্রামের জিইসি এরিয়াল লিজেন্ডে। এ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, পিবিআই পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, পিবিআই ( এডমিন) কাজী এনায়েতুল্লাহ কবির, বারকোডের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম, লেমনগ্রাস রেস্টুরেন্টের চেয়ারম্যান ফায়াজ আহমেদ, ওয়ান্ডারল্যান্ড ইনডোর প্লেগ্রাউন্ডের সিইও নুরুল হুদাসহ ওয়ান্ডারল্যান্ড পরিবারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিশুরা এখানের মনোরম পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ উপভোগ করবে। ইট-পাথরের শহরে শিশুদের বিনোদন ও শারীরিক–মানসিক বিকাশের সুযোগ কমে আসছে প্রতিনিয়ত। শিশুদের খেলাধুলার জায়গা নেই বললেই চলে। ফলে শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ছে স্মার্টফোনের প্রতি। এতে বেড়ে চলেছে তাদের শারীরিক ও মানসিক নানা রকম সমস্যা। যেমন দেরিতে কথা বলা, বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিশতে না পাড়া, শারীরিক বৃদ্ধিজনিত নানা সমস্যা ইত্যাদি।
ওয়ান্ডারল্যান্ড ইনডোর প্লেগ্রাউন্ডের কার্যক্রম এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে উদ্দীপনা জোগায়, যা শিশুদের সামগ্রিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এখনকার শিশুদের শৈশব কাটছে স্মার্টফোনে, যার পরিণাম বেশ ভয়ংকর। ওয়ান্ডারল্যান্ড একটি ভিন্নধর্মী প্রতিষ্ঠান, যেখানে আমরা সব সময় শিশুদের সুবিধার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ওয়ান্ডারল্যান্ড’ চট্টগ্রামের জিইসি এরিয়াল লিজেন্ডে শুধু সীমাবদ্ধ থাকবে না, পুরো চট্টগ্রামেই কাজ করতে চায় তারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে শীঘ্রই চট্টগ্রামের আরও কিছু প্রাইম লোকেশনে ওয়ান্ডারল্যান্ড উদ্বোধন করার আশা রেখে এ বিষয়ে ওয়ান্ডারল্যান্ড পরিচালক সাইফুল হোসেন মানিক বলেন, ‘আমরা সব সময় চেষ্টা করছি নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা চট্টগ্রামবাসীকে উপহার দিতে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এক হয়েছি চট্টগ্রামের বৃহত্তম ইনডোর প্লেগ্রাউন্ড ওয়ান্ডারল্যান্ডের সঙ্গে। এর ফলে চট্টগ্রামের শিশুরা পাবে অত্যাধুনিক পরিবেশে খেলাধুলার সুযোগ এবং তাদের বেড়ে ওঠা হবে সুন্দর ও নিরাপদে।’
পরে প্রধান অতিথি ও উপস্থিত সকল অতিথিবৃন্দ কেক কাটার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করেন ওয়ান্ডারল্যান্ড ইনডোর প্লেগ্রাউন্ডের।