1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
ভোলা জেলার অসহায় নিরিহ মোঃ জামাল খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও প্রাণনাশের হুমকি - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন

ভোলা জেলার অসহায় নিরিহ মোঃ জামাল খানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও প্রাণনাশের হুমকি

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ মাহাবুব আলম রিপোর্টার

মোঃ জামাল খান (৩৮), পিতা—মৃত আঃ মান্নান খান, সাং—হর্নি, খায়ের হাট, খান বাড়ি ০৯নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ দিঘলদী, ইউ,পি, থানা ও জেলা—ভোলা। আমরা ও দখলদাররা অপস্পরের আত্মীয় স্বজন। দখলদারদের সহিত আমার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি নিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। আমার পিতার মৃত্যুর আগে মোঃ ফারুক খান ও শাহে আলম খান (৬৫) দখলদারদের নিকট আমার পিতা তাহার দলিলসহ যাবতিয় কাগজপত্র রাখিয়া যায়। আমি বিগত ২৬ বছর যাবৎ আমার পরিবার নিয়া ঢাকায় বসবাস করিতে ছিলাম। এই সুযোগে দখলদারগণ আমার পিতার ও যাবতিয় সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে দখলদাররা দখল করিয়া নেয়। দখলকৃত জায়গার নাম : ১। হর্নি মৌজা, ২। কোরালিয়া মৌজা, থানা—ভোলা। ৩। পশ্চিম জয়নগর মৌজা, থানা—দৌলতখান, ৪। লক্ষ্মীপুর মৌজা, বোরহানউদ্দিন থানা, ৫। চর সরিষাবাদ মৌজা এবং খায়ের হাট বাজারের দোকানভিটা মিলিয়ে প্রায় ৫ একর জমি দখদারগণ অন্যায় ভাবে প্রায় ৩০ বছর যাবৎ ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন গত ২ বছর পূর্বে ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসিয়া মোঃ ফারুক খান ও শাহে আলম খান ।ইমূন খান।মেনাজ খান।(৬৫) দখলদারদের নিকট হইতে আমার পিতার রেখে যাওয়া দলিলসহ সকল কাগজপত্রাদী চাইতে গেলে। এবং অন্যান্য দখলদারদের আমার সম্পত্তি বুঝিয়া দিতে বলিলে, দখলদারগণ কাগজ পত্র ও আমার পিতার ওয়ারিশি সম্পত্তি আমাকে বুঝিয়ে না দিয়ে আমাকে মারপিট করিবে, খুন জখম করিবে এবং বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করিয়া জেল খাটাইবে বলিয়া হুমকি প্রদান করে এবং আমাকে বাড়ী হইতে বের করে দেওয়ার এবং জেল খাটানোর জন্য দখলদারগণ “খুলনার খবর” নামীয় ফেইসবুক পেইজ দ্বারা আমার নামে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য করিয়া পোস্ট করিলে আমি ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি, এতে দখলদারগণ এমন কার্য ঘটিয়েছে বলিয়া প্রমানিত হয়। বিগত ০১/০১/২০০৯ইং তারিখে আমি ঢাকা থাকা অবস্থায় আমার বোন নুরেতাজ বেগম আমার বাগান হইতে মেহগনী ও রেইন্দ্রীগাছ মিলিয়া প্রায় ২০টি গাছ নোমান খানের নিকট বিক্রি করে। আমি ঢাকা থেকে আসিয়া গাছ পুনরায় নোমান খানের নিকট হইতে ক্রয় করিয়া ঢাকায় চলিয়া যাই। এই সুযোগে শাহে আলম খান (৬৫), দখলদার অন্যান্য লোকদের সাথে যোগসাজসে গাছগুলো বিক্রি করিয়া দেয়। বিগত ০১/০১/২০২১ইং তারিখে আমি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবের অনুমতি নিয়ে আমি আমার বসত ভিটায় ঘর নির্মাণ করিয়া ঢাকায় চলিয়া গেলে এনায়েত হোসেন বিসু ও রুমা বেগম আমার বোন ও বোনের জামাই আমার ঘর দখল করিয়া বসবাস করে। পুনরায় আমার পরিবার নিয়া ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসিলে দখলদারগণ আমার নিকট হইতে ২ লক্ষ টাকা দাবী করেন। আর ২ লক্ষ টাকা না দিলে ঘর ছাড়বেনা এবং আমাকে ঘরে বসবাস করিতে দিবেনা বলিয়া জানায়। পরবর্তীতে আমি বাধ্য হয়ে বিগত ২৯/১০/২০২২ইং তারিখে হোসেন বিসু ও রুমা বেগমকে ২ লক্ষ টাকা প্রদান করিলেও তাহারা আমাকে অর্ধেক ঘরের দখল দেয় এবং বাকী ঘর মোঃ লোকমান খান (৪৮),মোঃ এমরান খান (৪৬), মোঃ নোমান খান ও শাহে আলম খান (৬৫) দখলদারদের নিকট হইতে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তাহাদেরকে দখল বুঝাইয়া দেয়। বিগত ১১/১০/২০২২ইং তারিখে আমি ঢাকায় থাকার সুযোগে দখলদারগণ আমার স্ত্রী ও ছেলে—মেয়েদেরকে মারপিট করিয়া শরিরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। এই বিষয় নিয়া বাংলাবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে একটি অভিযোগ দায়ের করি। বিগত ২৬/১১/২০২২ইং তারিখ আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে দখলদারগণ আমার ঘর লুট করিয়া নগদ ১,৫০,০০০/— টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ যাবতিয় মালামাল নিয়া যায় এবং ঘর ভাংচুর করিয়া প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে এবং আমার স্ত্রী ও সন্তানদেরকে মারপিট করে। এই বিষয়ে আমার স্ত্রী ৯৯৯ নম্বরে কল করিলে থানা হইতে কোন পুলিশ না গেলে আমার স্ত্রী ভোলা সদর থানায় আসিয়া একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৭/১১/২০২২ইং তারিখে থানা হইতে এসআই আকবর আমার বাড়ীতে গিয়া আমাকে কোনরকমে থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। তার কিছুদিন পর এসআই আকবর আমার চাচার ফোনে কল করিয়া আমার সাথে কথা বলে এবং আমাকে আমার ঘর ভিটা দখলদÍারদের থেকে ছাড়িয়া দেওয়ার জন্য বলেন। আমি অস্বীকার করিলে তিনি আমাকে গ্রেফতার করা হুমকি প্রদান করে। বিগত ১৮/০১/২০২৩ইং তারিখে আমি মোঃ নুর আলম বেপারীর নিকট আমার কার্গো ভ্যান গাড়ি বিক্রি করিয়া ৫,৪৫,০০০/— টাকা নিয়ে আমার ঘরে রাখিয়া বাজারে গেলে দখলদারগণ খবর পাইয়া মাথায় হ্যাল্মেট পরিয়া আসিয়া আমার স্ত্রীকে মারপিট করিয়া কার্গো ভ্যান গাড়ি বিক্রি করা ৫,৪৫,০০০/— টাকা লুট করিয়া নিয়া যায়। এই বিষয় নিয়া ভোলা সদর থানায় একটি অভিযোগ করিলেও এখন পর্যন্ত আমার টাকা উদ্ধার হয় নাই। স্বপন চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী দিয়ে চাঁদা দাবী করে । চাঁদার বাবদ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যায় লিটন ।স্বপন চেয়ারম্যান মোটা অংকের টাকা লেনদেন করে ঘর ভাঙ্গার আডেব দেয় । এবং তার কিছু দিন পর তোফায়েল আহমেদ এবং আলী আজম মুকুল দুই এম পি জানার পরেও না আওয়ামী লীগ সমর্থনের লোক বলে তাদের বিরুদ্ধে কোন একশন নেওয়া হয়নি এই সব কিছু মোকাবেলায় করতে গিয়ে মোহাম্মদ জামাল খানের ১/১/২০২১ ইং হতে ১/৭/২০২৪ ইং এই চার বছর এক কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশের ভিতরে নজির বিহীন ঘটনা ঘটে গেলো ভোল জেলায় পিতার ঘর ছেলে কিনে নিলো তাও পিতার এক মাত্র ছেলে । তোফায়েল আহমেদ পিতা মৃত আব্দুল মান্নান খান আর মুক্তিযোদ্ধা কার্ড সে নিজে বা অন্য একজন কে বেনিফিট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আব্দুল মান্নান খানের সমস্ত সম্পত্তি। শাহ আলম খান এবং ফারুক খান দুই জন মিলে জাল দলিল দিয়ে সিলগোলা নকল করে বিক্রি করে দেয়। এমতাবস্থায় আমি থানা হইতে কোন ন্যায়বিচার না পেয়ে সকল বিষয় তুলে ধরিয়া ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রশাসনের কাছে দাবি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি