1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
মনিরামপুরে শাশুড়ীর হাতে জামাই - বেয়ান আহত - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
কেশবপুর সদর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বগুড়া সদরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২৪ এর উদ্বোধন ঝালকাঠিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর নতুন কমিটি ঘোষনা লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির অভিভাবকের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কৃষক দল নোয়াখালীতে বিএনপি কর্মিকে গুলি ও জবাই করে হত্যা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম মামলার শিকার বাজার কমিটির সা: সম্পাদক-থানায় অভিযোগ কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত হল, দীনেশচন্দ্র সেন আলোচনা সভা ও গবেষণা পুস্তক সম্মাননা ২০২৪ মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে দুই”পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ নিহত-৩ আহত-১২

মনিরামপুরে শাশুড়ীর হাতে জামাই – বেয়ান আহত

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

 

মাসুদ রায়হান মনিরামপুর,যশোর, প্রতিনিধিঃ।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় শাশুড়ীর হাতে মেয়ে জামাই ও মেয়ে জামায়ের মা গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

ঘটনার বিবরন যায় মনিরামপুর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামেে মোঃ বিল্লাল হোসেনের সাথে একই উপজেলার দূর্বা ডাম্গা গ্রামের সাত্তারের মেয়ে সুমাইয়ার সাথে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই ছোট খাট সমস্যা লেগেই থাকে বিল্লাল – সুমাইয়ার দাম্পত্য জীবনে। সকল ছোট খাট সমস্যা মেনে নিয়ে সংসার করতে থাকে বিল্লাল হোসেন, এরই মধ্যে বিল্লাল সুমাইয়ার সংসারে জন্ম নেই এক ফুট ফুটে কন্যা সন্তান,মারিয়া (৪) তার পর থেকে মোটামুটি ভাবে চলতে থাকে বিল্লাল – সুমাইয়ার সংসার।

বিল্লালের সংসারে বিল্লাল, সুমাইয়া, বিল্লালের কন্যা (মারিয়া) আর বিল্লালের মা এই চার জনের সংসার। বিল্লাল জানায় আমার শাশুড়ী বিলকিস বেগম প্রায় আমার মাকে আলাদা করে দিয়ে ভিন্ন সংসার করতে তার মেয়ে সুমাইকে কান ভারি করতো আর এটা নিয়ে আমার সংসারে মাঝে মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হতো।

আমি আমার বউ সুমাইয়া কে বোঝাতাম ধেক যে আমি আমার মায়ের এক মার্ত সন্তান আমার আর কোন ভাই বা বোন নেই আমরা যদি মাকে আলাদা করে দেয় তাহলে সে কোথায় যাবে আমার দুই জনই তো আমার মায়ের সন্তান এসব কথা শুনে সুমাইয়া বুঝতো কিন্তু আমার শাশুড়ী বিলকিস বেগম প্রায় তার মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে আমার মায়ের বিরুদ্ধে উলটো পালটা কথা বলতো এরই মধ্যে আমাদের আর একটা কন্যা সন্তান(ফারিয়া) আসে আমাদের সংসারে।

এই দুই কন্যা সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে শাশুড়ী ও বউ সুমাইয়ার সকল অসুবিধা মেনে নিয়ে সংসার করতে থাকি। ঘটনার দিন ২৭ নবেম্বর বিকাল তিনটার দিকে ছোট মেয়ে (ফারিয়া) ১৭ মাস কে আমার বউ সুমাইয়া শীতের কাপড় পরাতে গেলে আমি সুমাইয়া কে বলি এত সকালে শীতের কাপড় পরিয়না এখনো তো ভালো শীত লাগছে না একটু দেরি করে পরাও তা না হলে ও ছোট মানুষ কাপড় ময়লা করে ফেলবে এতেই আমার বউ সুমাইয়া আমার উপর খিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এক পর্যায়ে আমি সুমাইয়াকে একটা থাপ্পড় মারি।

এর পর আমি আমার বড়ো মেয়ে (মারিয়া) কে আর আমার মা কোনা কোলা বাজারে আসি বড়ো মেয়ে মারিয়ার শীতের কাপড় কেনার জন্য। কাপড় কিনে বাড়ি ফিরে পাসের বাড়ির লোকের কাছে জানতে পারি যে আমার বউ ছোট মেয়ে ফারিয়াকে নি তার বাপের বাড়ি দুর্বা ডাম্গায় চলে গেছে। সাথে সাথে আমি আমার মা ও বড়ো মেয়ে মারিয়াকে সাথে করে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যায় সুমাইয়া কে খোজার জন্য।

বিল্লাল বলেন আমরা শ্বশুর বাড়ি যাওয়া মার্তই আমার শাশুড়ী বিলকিস বেগম অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এসময় আমার বউ সুমাইয়া বলে আমি তোর সংসার আর কবো না তুই চলে হটাৎ করে আমার শাশুড়ী বাসের লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মার পিট শুরু করে এ দৃশ্য দেখে আমার মা কোহিনুর বেগম ছুটে এসে আমাকে রঙ্কা করার চেষ্টা করে। আমার শাশুড়ী বিলকিস বেগম আমার মাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে আমাকে ছেড়ে মাকে তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মার পিট করতে থাকে আর আমার বউ সুমাইয়া আমাকে আটকে ধরে রাখে যাতে করে আমি আমার মাকে আত্মরঙ্কার্তে যেতে নারি।

আমার শাশুড়ী বিলকিস বেগমের লাঠির বাড়িতে মা কোহিনুর বেগমের পা ভেঙ্গে যায় ও মাথায় আঘাত পেয়ে গ্যান হারিয়ে ফেলে আমার আত্ম চিতকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাদের উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করে বর্তমানে বিল্লালের মা কোহিনুর বেগম হাসপাতালে চিকিৎসা ধিন আছে, আর বিল্লাল স্থানীয় চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছে এঘটনায় এলাকায় চরম চাপা খোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি