মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী
শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
তারিখ: ০৩/১২/২০২৪ ইং
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে দিনভর মুখর থাকতো ইনষ্টিটিউট মাঠটি। এখন সেই স্কুলে ইনষ্টিটিউটের খেলার মাঠটি দখল করে প্রতিষ্ঠানটির সুপারিন্টেন্ড চৈতন্য সরকার ও টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট রাসেল আহম্মেদ দুই জন মিলে যৌথ উদ্যাগে প্রতিষ্ঠানের মাঠে মাসকালাই চাষাবাদ করেছে।
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরের তালগাছিতে অবস্থিত সরকারি টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনষ্টিটিউট মাঠে হচ্ছে এ চাষ। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ করে এমন কাজ করায় সুপারিন্টেন্ডের ও বিচার দাবি করেছেন সচেতনমহল। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে সুপারিন্টেন্ড চৈতন্য সরকার নিজের খেয়াল ও নিজের খুশি মত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। এ যেন তাহার পৈত্রিক সম্পত্তি।
এ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৩১৮ জন শিক্ষার্থী ক্লাসের পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা নিচ্ছে। বস্ত্র অধিদপ্তরের এই প্রতিষ্ঠিানটিতে ১২ জন ষ্টাফ রয়েছে। খেলাধুলা বাদ দিয়ে খেলার মাঠে মাসকালাই চাষে ব্যাস্থ হয়ে পড়েছেন। মাসকালাই চাষ করায় দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা খেলাধুলা করার কোন সুযোগ পাচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১১ টার সময়ই ইনষ্টিটিউটে কোন শিক্ষক নেই, অফিস সহকারি আবু রায়হান দাপ্তরিক কাজ করছে। ইনষ্টিটিউটের মাঠে মাসকালাই চাষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সুপারিন্টেন্ড চৈতন্য সরকার ও টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট রাসেল আহম্মেদ দুই জন মিলে যৌথ উদ্যাগে এ মাসকালাই চাষ করছে।
এ ব্যাপারে টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট রাসেল আহম্মেদ এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সুপারিন্টেন্ডের সাথে কথা বলেই মাসকালাই চাষ করেছি। প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে চাষ করতে পারেন কি না এমন প্রশ্ন করলে জব্বাবে তিনি বলেন প্রতিষ্ঠান প্রধান বললে করতে পারি।
অভিযোগ রয়েছে, গতবছর ও মাসকালাই চাষ করে তা গরুর ঘাস হিসাবে বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন সুপারিন্টেন্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থীর জানান, এ মাঠে শীত মৌসুমে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য সুপারিন্টেন্ডেন্টকে বললেও তিনি খেলতে দেন না।
এ দিকে গতবছর থেকে দুই তিন মাসের জন্য মাসকালাই চাষ করছি বলে স্বীকার করেন সুপারিন্টেন্ডেন্ট চৈতন্য সরকার। তিনি আরও বলেন, যে স্যার লাগিয়েছে তার বাড়ি তালগাছী হওয়ায় তিনি লাগান এবং বিক্রি করেন। অপরদিকে মাসকালাইয়ের টাকার ভাগ নেওয়ার বিষয়ে তিনি তা অস্বীকার করেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন জানান এ মাসকালাই চাষ করার কারণে দীর্ঘ দিন যাবৎ এ প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার জন্য কোনো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।