নাজমুল হাসান নাজির
পুলিশ সদস্য ভাইয়ের পক্ষে বুধবার দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন বগুড়া সদরের কুটুরবাড়ী গ্রামের নুর নাহার বেগম। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, “গত ৩রা ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, বগুড়া ও জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং অনলাইনে প্রকাশিত বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামী পুলিশ সদস্যের হাত থেকে বাঁচার আকুতি শিরোনামে একটি সংবাদ আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
সেখানে বগুড়া সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের কুটুরবাড়ী এলাকার সাবেদ আলী পাইকারের ছেলে মো. পলাশ মিয়া, বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমার ভাই পুলিশ কনস্টেবল আবিদুর রহমান পারভেজকে জরিয়ে তার নামে কুটুরবাড়ী গ্রামের গত বছরের ১৭ মে দুপুর ১২ টার দিকে মৃত জীবন নাহারকে কুপিয়ে হত্যা এবং গত ৩০ নভেম্বর অভিযোগকারীর ছোট ভাই সৈয়দ হাসান সবুজকে রাজনৈতিক মামলায় আটকে আবিদুরের যোগসাজশ ও উক্ত জনাগুলোর সাথে আরও যাদের নাম উল্লেখ করে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয্যট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও না আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনকারী পলাশ নিয়া আমাদের প্রতিবেশী বটে। তার স্ত্রী জীবন নাহারের মৃত্যুকে পুঁজি করে আমাদের মানসম্মান ও সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্যই এমন ঘৃণ্য চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে তারা। জীবন নাহার মৃত্যুর পূর্বে সাবেদ আলী পাইকারের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক রাজুর স্ত্রী রাসি বেগম বাদি হয়ে মৃত ইজার আলী প্রামানিকের হেসে আবিদুর রহমান পারভেজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জহরুল ইসলাম, হযরত আলীর ছেলে পুটু মিয়া ও আব্দুল করিমকে বিবাদী করে ২০১৪ ইং সালে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন যা বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ শুনানির পর মামলাটি খারিজ করে দেন। বারবার আমাদেরকে পরাস্ত করার চেষ্টা অব্যহত রেখেছে। গত ০৯/০৫/২৪ ইং তারিখে আমার বড় ভাই মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, জোরগাছা হাটে তার দোকানে যাবার পথে, বাদী পলাশের পিতা সাবেদ আলী পাইকার ও তার নাতি কুটুরবাড়ী আকন্দপাড়ার আবু বকর সিদ্দিক ওরফে সিন্দু আকদের বাড়ির সামনে থেকে আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলে চড়ে যেতে চায়। তখন আমার ভাই সাবেদ আলীকে সালাম দিয়ে তাদেরকে নিয়ে জোরগাছা মতির হোটেলে নাস্তা করে চলে যায়। পরবর্তীতে জানতে পেরে বাদীর বড় ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক রাজু, আমার ভাই আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের নামে বগুড়া সদর থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।