মোঃ মুকিম উদ্দিন জগন্নাথপুর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় গরীবের সবজি আলুও পাতে ওঠা দুষ্কর হয়ে গেছে। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে এবার অস্থির হয়ে উঠছে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আলুর বাজার। এতে বিপাকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ।
একসময় চালের দাম বেড়ে গেলে বলা হত ‘বেশি করে আলু খান, ভাতের ওপর চাপ কমান’। বর্তমানে সে আলুর দামই বেশ চড়া। এরই মধ্যে এটি ছাড়িয়ে গেছে চালের দামকে। জগন্নাথপুর কেশবপুর বাজার, এরালিয়া বাজার, চিলাউড়া বাজার, কলকলিয়া বাজার, মোহাম্মদগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর দাম প্রতি কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায়, যা গত মাসের তুলনায় দ্বিগুণ। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতির বাজারে একসময় আলুই ছিল গরীবের ভরসার জায়গা। তবে সিন্ডিকেট করে আবারও আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। তবে সরকার নজরদারি বাড়ালে এ দাম কমতে পারে।
সাব্বির আহমদ নামের এক ক্রেতা বলেন, চলতি বছরে আলুর বাজার ব্যাপকভাবে লাগাম ছাড়িয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝিতে দাম কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে ফের বাড়তে শুরু করেছে।
তাহমিদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এক কেজি আলু ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে মধ্যবিত্তদের জন্য এটা রীতিমতো বাড়তি চাপ। দাম কমাতে আমদানির পাশাপাশি চাই উপজেলার প্রতিটি বাজারে কঠোর তদারকি, না হলে আলুর দাম ১০০ টাকা ছাড়াবে। আমি গতকাল ৪ ডিসেম্বর দেখেছি জগন্নাথপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুই দোকানদারকে অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়েছে। আমি উপজেলা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই উপজেলার প্রতিটি বাজারে সব সময় মনিটরিং করার জন্য।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে প্রতি কেজি আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় কেনা গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে আড়তদারের দাবি, বাজারে এখন আলুর কিছুটা সরবরাহ সংকট চলছে, যার কারনে দাম বেড়েছে। তবে ভোক্তা অধিকার কোল্ড স্টোরেজ গুলোতে অভিযান চালালে দাম আরও কমতো।